ওয়ার্ক ফ্রম হোম আগেই ধাপে ধাপে বন্ধ করেছে টিসিএস। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কর্মীদের অফিসে আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সপ্তাহে পাঁচদিন অফিসে আসতে হবে তাদের। তবে এখানেই শেষ নয়, অফিসে আসতে বলেছে বলে যা কিছু পরে চলে আসবেন সেটা হবে না। টিসিএস জানিয়ে দিয়েছে একেবারে ড্রেস কোড মেনে অফিসে আসতে হবে কর্মীদের। ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসে সেই সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
ওয়ার্ক ফ্রম হোমে যে যেমন খুশি পরে অফিস করতে বসে পরতেন এতদিন। তবে সেটা আর হওয়ার নয়।
মূলত অতিমারির সময় থেকে টিসিএসে ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালু হয়েছিল। তবে করোনা বিদায় নেওয়ার পরেও বহু কর্মী ঘর থেকেই কাজ করতেন। তবে এবার তাঁদের অনেককেই অফিসে আসতে হবে। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে আইটি সংস্থা।
টিসিএসের প্রধান হিউম্যান রিসোর্স অফিসার মিলিন্দ লাখাড কর্মচারীদের মেল করেছেন। সেখানেই ড্রেস কোডের ব্যাপারে লেখা আছে।
সেই ইমেলে উল্লেখ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিকক্ষেত্রে যারা অংশীদার রয়েছেন তাঁদের সঙ্গে একাত্ম হওয়ার জন্য এই ড্রেস কোড অত্যন্ত জরুরী। অফিসের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের জন্য এই ড্রেস কোড অত্যন্ত জরুরী।
টিসিএসের তরফে উল্লেখ করা হয়েছে, গত দুবছরে প্রচুর সহযোগী আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তাঁরা ভার্চুয়াল বা হাইব্রিড মোডে কাজ করছিলেন। কিন্তু তাঁদেরকে এক সূত্রে গাঁথাটা অত্যন্ত দরকার। সেকারণেই একই ধরনের ড্রেস কোড মানতে হবে।
এবার জেনে নিন সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঠিক কী ধরনের ড্রেস কোড মানতে হবে কর্মচারীদের?
ফর্মাল ফুল স্লিভড শার্ট। সেই সঙ্গেই ফর্মাল প্যান্ট পরতে হবে। সেটা রঙিন, চেক কাটা বা স্ট্রাইপ দেওয়া জামা হতে পারে।
মহিলাদের ক্ষেত্রে ফর্মাল স্কার্ট বা বিজনেস ড্রেস পরা যাবে। শাড়ি অথবা হাঁটু পর্যন্ত লম্বা কুর্তা পরা যাবে।
জুতোর মধ্য়ে ফর্মাল জুতো, মোকাসিনস, ফ্ল্যাট জুতো, হিল দেওয়া জুতো, স্যান্ডাল পরে অফিসে আসা যাবে।
শুক্রবারের জন্য যে পোশাক বরাদ্দ করা হচ্ছে সেগুলি হল, ক্যাজুয়াল, হাফ স্লিভড শার্ট, কলার দেওয়া টি শার্ট, পোলো শার্ট।
স্মার্ট ক্যাজুয়াল প্যান্ট, খাকি, চিনোস, জিন্স পরে আসা যাবে।
মহিলাদের জন্য কুর্তি, প্রিন্টেড ব্লাউজ, স্কার্ট পরা যাবে।
স্নিকার, মোকাসিনস পরে আসা যাবে।
তবে বিজনেস মিট, ক্লায়েন্ট মিটের সময় বিজনেস স্য়ুট পরে আসতে হবে। জানিয়েছে টিসিএস।