এক ছাত্রকে ধর্মীয় প্রতীক ব্যবহার করে তৈরি রিস্ট ব্যান্ড পরতে নিষেধ করার অভিযোগ উঠল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায়। সেখানে একটি বেসরকারি স্কুলে বিক্ষোভ দেখায় বজরং দল। তাদের অভিযোগ, শিক্ষকের এমন নিষেধাজ্ঞা ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে। অবিলম্বে এই ঘটনায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বজরং দল।
আরও পড়ুন: জল খাওয়াই হল কাল! শিক্ষকের মারে প্রাণ হারাল ৯ বছর বয়সি দলিত ছাত্র
জানা যায়, ঘটনার পরেই স্কুল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতি জারি করে ঘটনাটিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করা হয়েছে। তবে স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে ওই রিস্ট ব্যান্ড ছাত্রকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্কুলের তরফে বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি সমস্ত ধর্মীয় বিশ্বাসকে সম্মান করে। ত্রিপুরার বজরং দলের নেতা তুতান সাহা মিশনারি পরিচালিত স্কুলগুলিতে ধর্মীয় বিধিনিষেধ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, যে এই ধরনের কর্মকাণ্ড শিশুদের স্বাভাবিক বুদ্ধির বিকাশে বাধা দেয়। তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। একইসঙ্গে এমন ধরনের ঘটনাকে হিন্দু ধর্ম, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং সাংবিধানিক অধিকারের ওপর আক্রমণ বলে বর্ণনা করেন তুতান সাহা।
ছাত্রের পেশায় একজন কলেজ শিক্ষক। তিনি জানান, ছাত্রের হাতে যে রিস্ট ব্যান্ড রয়েছে তার ধর্মীয় গুরুত্ব রয়েছে। কারণ তার ছেলের জন্য এই রিস্ট ব্যান্ড আনা হয়েছিল গুজরাটের সোমনাথ মন্দির থেকে। ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতেই ছেলের হাতে রিস্ট ব্যান্ড পরানো হয়েছিল বলে তিনি জানান। স্কুলের অধ্যক্ষ এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, এই স্কুলটি হল ধর্মনিরপেক্ষ। সেই মূল্যবোধের প্রতি স্কুলের অঙ্গীকার নিশ্চিত করা হল স্কুলের কর্তব্য।স্কুলটি অবিলম্বে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মধ্যে পিতামাতা এবং প্রতিবাদকারীদের দাবি অনুযায়ী, পড়ুয়াকে রিস্ট ব্যান্ড ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং তা পরতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।