ডাক্তারদের ক্ষেত্রে গ্রামীণ এলাকায় পরিষেবা প্রদানের বন্ড থাকে। এবার সেই একই ভাবে শিক্ষকদের চাকরির প্রথম তিনবছর গ্রামীণ এলাকায় পড়াতে হবে। এমনই নির্দেশিকা জারি করল মধ্যপ্রদেশ সরকার। শিক্ষকদের জন্য নয়া নিয়োগ ও বদলির নীতি জারি করেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। সেই নির্দেশিকাতেই বলা হয়েছে যে নিয়োগের পর বাধ্যতামূলক ভাবে তিনবছর গ্রামীণ এলাকার স্কুলে পড়াতে হবে শিক্ষকদের। এরপরে মিলবে বদলি। ইতিমধ্যেই এই নির্দেশিকা অনুমোদিত হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রিসভার বৈঠকে। বৈঠকের নেতৃত্বে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।
মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র বলেন, ‘নতুন বদলি নীতি ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে কার্যকর হবে। এখন শিক্ষকরা মন্ত্রীসহ অন্যান্য দপ্তরে ডেপুটেশনে কাজ করবেন না। গ্রামীণ এলাকায় অবস্থিত স্কুলগুলিতে যথাযথ সংখ্যক শিক্ষক নিশ্চিত করা হবে।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নতুন বদলি নীতিতে প্রশাসনিক বদলি এবং পরে স্বেচ্ছায় বদলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। নবনিযুক্ত শিক্ষকদের কমপক্ষে ৩ বছর এবং পুরো চাকরি জীবনের সর্বনিম্ন ১০ বছর তাদের কাজ করতে হবে গ্রামীণ এলাকার স্কুলগুলিতে। একটি প্রতিষ্ঠানে, বিশেষ করে শহরাঞ্চলে, দশ বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য নিয়োগ করা শিক্ষকদের এমন গ্রামীণ স্কুলে পাঠানো হবে যেখানে শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে। যেসব শিক্ষক আগামী তিন বছরের মধ্যে অবসরে যাচ্ছেন বা গুরুতর অসুস্থতা বা অক্ষমতায় ভুগছেন তাঁরা এই প্রক্রিয়া থেকে অব্যাহতি পাবেন।’
এদিকে মন্ত্রিসভা মাওবাদী এলাকায় পোস্ট করা কর্মীদের জন্য বিশেষ ভাতারও অনুমোদন দিয়েছে। বিশেষ গোয়েন্দা শাখার (এসআইবি) পুলিশ সদস্যদের কাজের সময় অনুযায়ী বিশেষ ভাতা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে প্রাকৃতিক কৃষিকাজকে অগ্রাধিকার দিতে প্রকল্প চালু করার ঘোষণাও করেন মন্ত্রী। এই প্রকল্পের অধীনে ৫২ জেলার কৃষকরা মাসিক ৯০০ টাকা ভাতা পাবেন।