এক মুসলিম ছাত্রকে পরপর চড় মারার জন্য অন্য ছাত্রদের নির্দেশ দিয়েছিলেন এক শিক্ষিকা। অভিযোগ এমনটাই। তিনি এবার মুজফ্ফরনগরের পকসো কোর্টে আত্মসমর্পণ করলেন। তবে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়া সূত্রে।
গত ২৩শে নভেম্বর এলাহাবাদ হাইকোর্ট তাঁর অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। এরপর তাঁকে আত্মসমর্পণ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। দু সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় আদালতে আত্মসমর্পণ করার জন্য তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
হাইকোর্টের নির্দেশের পরে ওই শিক্ষিকা তৃপ্তা ত্যাগী স্পেশাল পকসো কোর্টের আত্মসমর্পণ করেন। এরপর তিনি জামিনের জন্য আবেদন করেন। গত বছর একটা ভিডিয়ো সামনে এসেছিল। যেখানে দেখা গিয়েছিল স্কুলের মধ্যে এক ছাত্রকে চড় মারার জন্য অন্য ছাত্রদের নির্দেশ দিচ্ছেন তিনি। আর অভিযোগ সেই সময় এক বিশেষ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে তিনি মনোভাব দেখিয়েছিলেন। তবে অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জাজ ( পকসো) মুজফ্ফরনগর বৃহস্পতিবার তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি ক্ষতিসাধন করেছেন, অপমান করেছেন, দুষ্কর্মমূলক কাজ করেছেন, ধর্মীয় আবেগে আঘাত করার চেষ্টা করেছেন। জুভেনাইল জাস্টিস অ্য়াক্টেও অভিযুক্ত ছিলেন তিনি।
কী ছিল সেই ভিডিয়োতে?
সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। সেই ভিডিয়োতে ছিল ওই শিক্ষিকা অন্য ছাত্রদের নির্দেশ দিচ্ছেন এক মুসলিম ছাত্রকে চড় মারার জন্য। এরপর তিনি সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ।
এরপরই এনিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। শিক্ষা দফতর ওই স্কুলের কাছেও নোটিশ পাঠিয়েছিল। তবে এবার আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন ওই শিক্ষিকা। তবে তিনি জামিনে মুক্ত হয়েছেন বলে খবর।