ত্রিপুরায় এখন বিজেপির ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে আন্দোলন তীব্র হচ্ছে। কিন্তু এখানেই ক্ষমতায় আসার আগে বিজেপি চাকুরিচ্যুত ১০,৩২৩ জন শিক্ষককে নিয়ে আন্দোলনে করেছিল। কিন্তু তারা পূর্বের প্রতিশ্রুতি রাখেনি। তাই এবার বিজেপির বিরুদ্ধেই শিক্ষকেরা আন্দোলন শুরু করছেন। যা অস্বস্তি বাড়িয়েছে বিপ্লব দেবের প্রশাসনের।
তবে এই চাকুরিচ্যুত শিক্ষকদের মনে জায়গা করতে পারলেন না তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারাও। বিজেপির মতোই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ আশ্বাস দিয়েছিলেন, তাঁদের সরকার ক্ষমতায় এলে মানবিক দৃষ্টিতে শিক্ষকদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু বিজেপিকে বিশ্বাস করে তাঁরা ঠকেছেন। তাই আর তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের আশ্বাসে চিড়ে ভিজল না। সুতরাং শিক্ষকেরা খালি হাতেই ফিরিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের।
রবিবার চাকুরিচ্যুত শিক্ষকেরা ত্রিপুরায় অবস্থানে বসেছিলেন। আগরতলার পুরনো আরএমএস এলাকায় চলে ব্যাপক অবস্থান–বিক্ষোভ। এই শিক্ষকদের তিনটি গোষ্ঠী। তার মধ্যে দু’টি গোষ্ঠী চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি নিয়ে সরব হয়েছে। একটি গোষ্ঠীর নেতা কমল দেব বলেন, ‘লকডাউনের জন্য আমরা আন্দোলন করতে পারিনি। কিন্তু এখন আবার রাস্তায় নেমেছি। এর শেষ দেখে ছাড়ব।’
জানা গিয়েছে, গতকাল ত্রিপুরায় ব্যাপক যোগদান হয় তৃণমূল কংগ্রেসে। সুস্মিতা দেবের হাত ধরে সদস্য সংগ্রহে মিলেছে দুরন্ত সাড়া। তারপরই তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিল শিক্ষকদের অবস্থান–বিক্ষোভের দিকে আসতে চায়। কিন্তু শিক্ষকেরা তাঁদের ফিরিয়ে দিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা জানান, তাঁরা সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে চান। আর শিক্ষকরা জানিয়ে দেন, এমন কথা বিজেপিও বলেছিল। তাই তাঁদের অরাজনৈতিক মঞ্চে আর কোনও রাজনৈতিক দলকে যুক্ত হতে দেওয়া হবে না।