সামনেই ত্রিপুরার উপনির্বাচন। এর মধ্যেই একাধিক আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে শাসকদল বিজেপি। বহু জায়গায় সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন সিপিএম নেতৃত্ব। তবে ত্রিপুরা নিয়ে এবার আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না তৃণমূল। আগামী ২৫শে নভেম্বর ত্রিপুরায় ১৩টি পুরসভা ও ৬ টি নগর পঞ্চায়েতে ভোট হবে। তার আগে বাংলার ৯জন তৃণমূল নেতাকে পাঠানো হল ত্রিপুরায়। তাঁরাই সামলাবেন ত্রিপুরায় তৃণমূলের ওয়ার রুম।
তৃণমূল সূত্রে খবর, এবার ৯জনের সেই টিমে রয়েছেন পাঁচজন বিধায়ক ও চারজন তৃণমূল নেতা। বুধবার সকালের বিমানেই তাঁরা ত্রিপুরায় চলে গিয়েছেন। ভোট পর্যন্ত তাঁদের ত্রিপুরায় থাকতে বলা হয়েছে। দল সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলামকে ত্রিপুরার সেপাইজালা জেলার সোনামুড়া নগর পঞ্চায়েতের ভোটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁর সঙ্গেই সহযোগী হিসাবে থাকছেন কোচবিহারের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ পার্থপ্রতীম রায়। চাঁপদানি পুরসভার পুরপ্রশাসক অরিন্দম গুঁইকে ঢালাই জেলার আমবাস পুরসভা এলাকায় প্রচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁকে সহযোগিতা করবেন মৎস্যমন্ত্রীর পুত্র সুপ্রকাশ গিরি।
বীরভূমের লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহকে তেলিয়ামুড়া পুরসভার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসকে তাঁর সহযোগী করা হয়েছে। স্পিকারের কাছে ছুটি নিয়ে তাঁরা গিয়েছেন প্রচারে। এদিকে আগরতলা পুরসভার দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে তৃণমূল। এক্ষেত্রে পুর এলাকাকে তিনভাগে ভাগ করে তিনজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে এরপরেও খোদ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রচারে যেতে পারেন ত্রিপুরায়। এর পাশাপাশি তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ ও সাংসদ শান্তনু সেনও প্রচারে যাবেন ত্রিপুরায়। সব মিলিয়ে একেবারে হিসাব করে বিজেপির বিরুদ্ধে জোর লড়াইয়ে নামতে চাইছে তৃণমূল।