দলের রাশ নিজের হাতে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন উদ্ধব ঠাকরে। মহারাষ্ট্র বিধানসভায় নয়া স্পিকার নিয়োগের সঙ্গে সঙ্গেই মাথায় হাত পড়েছে উদ্ধবের। তাঁর নিযুক্ত চিফ হুইপ ও পরিষদীয় দলনেতাকে সরিয়ে দেন নবনিযুক্ত স্পিকার রাহুল নরবেকর। এই নির্দেশের বিরোধিতা করে এবার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলেন উদ্ধব ঠাকরে। এদিকে এদিন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব আরও একটি ধাক্কা খান। এদিন আস্থা ভোটের সময় উদ্ধবপন্থী বিধায়ক সন্তোষ বাঙ্গার একনাথকে সমর্থন জানান। বিধানসভায় ফ্লোর টেস্টের আগেই তিনি একনাথ শিন্ডের শিবিরে যোগ দেন। বাঙ্গারের শিবির ত্যাগের সাথেই একনাথ শিন্ডের দলে এখন মোট বিধায়ক সংখ্যা বেড়ে ৪০ হল। আর উদ্ধবের সমর্থনকারী বিধায়কের সংখ্যা কমে ১৫ হল।
বিধানসভার অন্দরে নিজেদের অস্তিত্ব নিয়ে গতকাল থেকেই চাপে ছিলেন উদ্ধব। উদ্ধবের নিযুক্ত চিফ হুইপ সুনীল প্রভু এবং পরিষদীয় দলনেতা অজয় চৌধুরীকে সরিয়ে দেন নবনিযুক্ত স্পিকার রাহুল নরবেকর। রাহুলের নির্দেশের পর বিধানসভায় শিবসেনার চিফ হুইপ হন একনাথ শিবিরের বিধায়ক ভোগাবলে। এদিকে শিবসেনার পরিষদীয় দলনেতা পদে ফেরেন একনাথ শিন্ডে। আর এদিন আস্থা ভোটেও ১৬৪-৯৯ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন একনাথ।
আজকের ভোটাভুটির সঙ্গেই মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক পালাবদল সম্পূর্ণ হল। এর আগে ৩০ জুন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন একনাথ শিন্ডে। উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। এর আগে উদ্ধব ঠাকরে এবং মহাবিকাশ আঘাড়ি সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে ২০ জন বিধায়ক নিয়ে সুরাটে যান একনাথ শিন্ডে। পরবর্তীতে তাঁর শিবিরে আরও বিধায়ক যোগ দেন। বিদ্রোহী বিধায়করা মিলে গুয়াহাটি যান। সেখানে প্রায় এক সপ্তাহ থাকার পর গোয়াতে পা রাখেন বিদ্রোহী বিধায়করা। দীর্ঘ বিদ্রোহের পর শেষ পর্যন্ত ৩০ জুন মুম্বইতে পা রাখেন একনাথ। সেদিনই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন একনাথ। আর আজ তিনি আস্থা ভোটে জিতে নিজের সংখ্যাবল প্রমাণ করলেন।