গুজরাটের ভদোদরার অমিত গুপ্ত, গত ৩ মাস ধরে আটক রয়েছেন কাতারে। এমনই দাবি তাঁর পরিবারের। কী কারণে অমিত সেখানে জেলবন্দি রয়েছেন, তা নিয়ে অন্ধকারে অমিতের পরিবার। এদিকে, যে সংস্থার কর্মী হিসাবে কাতারে ছিলেন অমিত, সেই টেক মহিন্দ্রা এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে। তারা জানিয়েছে, কাতারে আটক অমিতের পরিবারের সঙ্গে 'ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগে' রয়েছে সংস্থা।
উল্লেখ্য, গত ১ জানুয়ারি থেকে কাতারে আটক রয়েছেন অমিত গুপ্তা। তিনি টেক মহিন্দ্রার সিনিয়র সদস্য। অভিযোগ, অমিত কোনও তথ্য চুরি করেছেন, সেই কারণেই তাঁকে সেখানের জেলে আটক করা হয়েছে। যদিও তাঁর পরিবার বলছে, অমিত দোষী নন। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। কাতারে আটক হওয়ার পর প্রথম ৪৮ ঘণ্টা কী ঘটেছিল? আইএনএস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অমিতের মা মুখ খোলেন। তিনি বলেন,' ১ জানুয়ারি তাঁকে আটক করা হয়। প্রথম ৪৮ ঘণ্টা তাঁকে খাবার, জল ছাড়া রাখা হয়। তাঁকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। গত ৩ মাস ধরে তিনি দোহাতে আটক। এই আটকের নেপথ্যের কারণ অজানা।' তাঁর মায়ের দাবি, ‘সংস্থায় কেউ কিছু নিশ্চয় করেছেন, তার জন্যই ওঁকে ধরা হয়েছে, কারণ তিনি কান্ট্রি ম্যানেজার ছিলেন সংস্থার।’ গত ২ দিন ছেলে ফোন না ধরায় ছেলের খোঁজ তাঁর এক বন্ধুর থেকে খোঁজ পান অমিত গুপ্তর বাবা মা। তাঁরা দ্বারস্থ হয়েছেন গুজরাটের ভদোদরার সাংসদের। এদিকে, সূত্রের খবর অমিত গুপ্তর আটক সম্পর্কে কাতারে ভারতীয় দূতাবাস অবহিত।
এদিকে সংস্থার কর্মীকে এভাবে কাতারে আটকে রাখা হয়েছে, তা নিয়ে মুখ খুলেছে টেক মহিন্দ্রা। টেক মহিন্দ্রার তরফে বলা হয়েছে,' আমরা পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছি, তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করছি। আমরা উভয় দেশের কর্তৃপক্ষের সাথে সক্রিয়ভাবে সমন্বয় করছি এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করছি। আমাদের সহকর্মীর সুস্থতা নিশ্চিত করা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।' জানা যাচ্ছে, সংস্থার তরফে কাতার ও কুয়েতের ‘হেড’ হিসাবে কর্মরত টেক মহিন্দ্রার ওই কর্মী। তাঁকে ঘিরে ক্রমেই গাঢ় হচ্ছে রহস্য।