এস রাজু
ফের উত্তরপ্রদেশ। এবার ধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারা হল এক কিশোরীকে। অভিযোগ, বুলন্দশহর জেলার জাহাঙ্গিরাবাদ এলাকার এক গ্রামের বাসিন্দা ওই কিশোরীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় অভিযুক্তের পরিবার। মঙ্গলবার সকালের ঘটনা। আর এদিন রাতেই দগ্ধ অবস্থায় দিল্লির সফদরগঞ্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই কিশোরীর।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিল ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবকের পরিবার। কিন্তু নির্যাতিতা কিশোরী কোনওরকম আপোষে রাজি না হলে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় অভিযুক্তের কাকা এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা।
মৃত্যুর আগে পুলিশের কাছে বয়ানে ওই কিশোরী জানিয়েছে, তার শরীরের অগ্নিসংযোগ করেছে ধর্ষকের কাকা সঞ্জয় ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা। পরে সঞ্জয়, তার স্ত্রী কাজ ও আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গিরাবাদ থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত কিশোরীর পরিবার। অভিযোগে তাঁরা জানিয়েছেন, ধর্ষক ও তার পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনায় সমঝোতা করে নেওয়ার জন্য চাপ বাড়াচ্ছিল তাঁদের মেয়ের ওপর। কিন্তু তাতে কোনও লাভ না হওয়ায় তাকে পুড়িয়ে খুন করে ওরা।
বুলন্দশহরের এসএসপি এস কে সিং জানিয়েছেন, প্রথমে বলা হয়েছিল যে নির্যাতিতা নিজের গায়ে নিজেই আগুন দিয়েছে। মৃতের পরিবার পরে সঞ্জয় ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ আনে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে, প্রাথমিক তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে সাব ইন্সপেক্টর বিনয়কান্ত গৌতম ও কনস্টেবল বিক্রান্ত তোমারকে বরখাস্ত করেছেন এসএসপি। আর জাহাঙ্গিরাবাদ থানার এসএইচও বিবেক শর্মাকে বদলি করা হয়েছে পুলিশ লাইন্সে।
এসএসপি আরও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলছে। নির্যাতিতা কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে ১৫ অগস্ট একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ আর সেদিনই মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার করা হয়। মেয়েটি যে গ্রামে থাকে সেখানকার একটি বাগানের দেখভাল করত অভিযুক্ত যুবক।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় বুলন্দশহর জেলায় এই নিয়ে পরপর দুটি এমন ঘটনা ঘটল। প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল সোমবার। ১৯ বছর বয়সী আইনের এক পড়ুয়াকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল ১৬ অক্টোবর। সোমবার তিনি জেলার অনুপশহর এলাকায় আত্মহত্যা করেন।