ভারত ও বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীদের পৌরহিত্যে Joint Consultative Commission (JCC)-র ভার্চুয়াল বৈঠক হল মঙ্গলবার। জয়শংকর ও বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী আবদুল মমেন বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় আলোচনা করেন।
ভারতের টাকায় বাংলাদেশে যে উন্নয়নের কাজগুলি হচ্ছে, সেগুলির নজরদারির জন্য উচ্চ-পর্যায়ের প্রক্রিয়া তৈরী করা হয়েছে। তাদের পণ্যের রফতানি বৃদ্ধি করার জন্য ভারতকে পদক্ষেপ গ্রহণ করার আর্জি জানান মমেন। দ্রুত তিস্তার জলবণ্টন নিয়ে সিদ্ধান্ত ও দুই দেশেই যে নদীগুলি বইছে, তার জল বণ্টন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া নিয়েও বৈঠকে কথা বলা হয়েছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে আশা করেছে বাংলাদেশ।তিনটি লাইন অফ ক্রেডিট চুক্তির আওতায় যে প্রকল্পগুলি চলছে, সেগুলির নজরদারি করব বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ও ঢাকায় স্থিত ভারতের রাষ্ট্রদূত।
লাল ফিতের ফাঁসে যে ভারতের উত্তরপূর্বে বাংলাদেশি পণ্য রফতানি করতে অসুবিধা হচ্ছে, সেই বিষয়টি তুলে ধরেন মমেন। হালে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করায় বাংলাদেশে যে সমস্যা হয়েছিল, তার পুনরাবৃত্তি এড়ানোর জন্যেও অনুরোধ করেন মমেন।
তবে এদিন তিস্তার জলের ভাগের প্রসঙ্গটি উঠে আসে, যেটির এখনও কোনও সমাধানসূত্র বেরোয়নি। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করতে বাংলাদেশের তরফ থেকে আর্জি জানান হয়। জয়শংকর বলেন যে দুই দেশের মধ্যে ৫৪টি নদী আছে । তিনি বলেন তিস্তার জলের ভাগ নিয়ে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও যে সাতটি নদীর জল নিয়ে ইতিমধ্যেই তথ্য দেওয়া হয়েছে, সেগুলিতেও যেন কাজ এগোয়, সেটা চায় নয়াদিল্লি।
জয়েন্ট রিভারস কমিশনের বৈঠক হয়নি ২০১০ সালের পর। ফের মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠকের বিষয় ভাবনা চিন্তা করার কথা উঠে আসে এদিনের বৈঠকে। রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধান না হলে যে মৌলবাদী শক্তি মাথা চাডা দিয়ে উঠতে পারে যেটি অর্থনৈতিক বিকাশের পরিপন্থী, সেটি তুলে ধরেন মমেন।
দুই দেশের মধ্যে শক্তি প্রকল্পগুলির কাজ তরান্বিত করার কথাও এদিনের বৈঠকে বলা হয়। সামরিক ক্ষেত্রে ট্রেনিং সহ সামগ্রিক ভাবে সহযোগিতা বৃদ্ধি ও ডিফেন্স লাইন অফ ক্রেডিট নিয়েও আলোচনা হয়েছে।