বিহারে তাঁর দল আরজেডি-র শাসনাধীন ১৫ বছরে ‘কিছু ভুলের জন্য’ তেজস্বী যাদবের ক্ষমা চাওয়াকে নির্বাচনের আগে ঘর সামলানোর উদ্যোগ বলে মন্তব্য করল এনডিএ।
চলতি বছরের শেষে বিহার বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছেন লালু প্রসাদ যাদবের উত্তরসূরি আরজেডি নেতা তেজস্বী। গত বৃহস্পতিবার পটনায় দলীয় কার্ষালয়ে কর্মীদের সামনে তিনি বলেছেন, '১৫ বছরের শাসনকালে আমাদের সরকার যদি কিছু ভুল করে থাকে, তার জন্য ক্ষমা চাইছি। সেই সময় আমি খুবই ছোট ছিলাম এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। কিন্তু সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে, আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ সমাজিক নীতিবোধ ফিরিয়ে এনেছিলেন, যা কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না।’
প্রসঙ্গত, নির্বাচনী প্রচারে ক্রমাগত আরজেডি-র ১৫ বছরের শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করে চলেছে বিজেপি ও সংযুক্ত জনতা দল। অন্য দিকে, নীতীশ কুমার সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার লাগামহীন অভিবাসন, বেকারত্ব এবং অন্যান্য সমস্যার সমাধানে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলছেন তেজস্বী-সহ আরজেডি শিবিরের নেতারা।
তেজস্বীর কথার জেরে শুক্রবার জেডিইউ নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী নীরজ কুমার বলেন, বাবা লালু প্রসাদ ও মা রাবড়ি দেবী শাসক হিসেবে যে অযোগ্য ছিলেন, তা এবার স্বীকার করা উচিত তেজস্বীদের।
অন্য দিকে বিহারের বিজেপি মুখপাত্র নিখিল আনন্দ জানিয়েছেন, ‘বিহারের মানুষ কোনও দিন আরজেডি-র কুশাসন ক্ষমা করবে না। তাঁদের নজর ঘোরাতে এই স্বীকারোক্তি তেজস্বীর বড় নাটক ছাড়া কিছু নয়। আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ কখনও ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন? বিহারকে নষ্ট করে দিয়েছে আরজেডি শাসন আর তার জন্য এতদিন পরে ক্ষমা চাওয়ার কোনও অর্থ হয় না।’