গত ডিসেম্বরে চেন্নাই থেকে তিরুচিরাপল্লিগামী ইন্ডিগোর বিমানের ইমারজেন্সি দরজা খুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর সাংসদ তথা বিজেপি যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্যর বিরুদ্ধে। তবে সেই ঘটনা নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দিলেন না সূর্য। এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁর পালটা প্রতিক্রিয়া, 'ইতিমধ্যেই ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা, কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী (জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া), আমার সহ-যাত্রী এবং প্রত্যক্ষদর্শী তামিলনাড়ু বিজেপির প্রধান আন্নামালাই এবং অন্য দুই যাত্রী বলেছেন যে ঠিক কী হয়েছিল। তাই এই নিয়ে কথা বলে আমি সময় নষ্ট করতে চাই না।' (আরও পড়ুন: 'যুগান্তকারী', ৫০ বছর পুরোনো সুপ্রিম রায় নিয়ে ধনখড়ের ভিন্নমত CJI চন্দ্রচূড়ের)
এই গোটা বিষয়টি নিয়ে সূর্য বলেন, 'আমি আমার এবং আপনার (সাংবাদিক) সময় নষ্ট করতে চাই না কারণ কংগ্রেস এবং অন্যরা এটা নিয়ে বারবার কথা বলে আসছে। যথাযথ বিবৃতি জারি করার এক্তিয়ার যাদের কাছে আছে, তাঁরা এই নিয়ে কথা বলেছেন। আপনি তাঁদের উদ্ধৃত করে দিতে পারেন।' এর আগে কংগ্রেসের তরফে তোপ দাগা হয় সূর্যর এই কীর্তি নিয়ে। হাত শিবিরের অভিযোগ, বিমানযাত্রীদের বিপদে ফেলে এই কাণ্ড ঘটান তেজস্বী। এক প্রত্যক্ষদর্শীকে উদ্ধৃত করে ডিএমকে নেতা ঘটনার বিবরণ দিয়ে দাবি করেন, তেজস্বী সূর্যের হাত ছিল ইমারজেন্সি দরজার ওপর। দরজাটা খুলে যেতেই অন্য যাত্রীদের বিমান থেকে নামিয়ে বাসে তুলে দেওয়া হয়। পরে নাকি তেজস্বী এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে বিমান সংস্থা এবং সেই উড়ানে থাকা বাকি যাত্রীদেরকে চিঠি পাঠান।
জানা যায়, গত ১০ ডিসেম্বর চেন্নাই বিমানবন্দর থেকে তিরুচিরাপল্লিগামী একটি বিমানে ওঠার পরই এক যাত্রী বিমানের ইমারজেন্সি দরজা খুলে দিয়েছিলেন। ইন্ডিগোর ‘৬ই ৭৩৩৯’ বিমানটির ইমারজেন্সি গেট খুলে যাওয়ার পর সব যাত্রীদের ফের নামিয়ে দেওয়া হয় বিমান থেকে। পরে বিমানেপ ‘প্রেসার’ চেক করে সেটি গন্তব্যের উদ্দেশে উড়ে যায়। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় শুরু হয়। উল্লেখ্য, এয়ার ইন্ডিয়ায় প্রস্রাব কাণ্ডের পর থেকেই বিমানে যাত্রীদের অভব্য আচরণ নিয়ে পরপর রিপোর্ট প্রকাশ হচ্ছে। এরই মাঝে ইন্ডিগো বিমানের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপিকে 'ভিআইপি সংস্কৃতি' নিয়ে খোঁচা দেয় কংগ্রেস।
এই গোটা ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কেন তেজস্বীর কোনও শাস্তি হবে না? সেই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া জানিয়েছেন, তেজস্বী ইচ্ছা করে ওই কাজ করেননি। তিনি ‘ভুল করে’ ওই কাজ করে ফেলেছিলেন এবং তার জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই সাফাইতে বিচর্ক বন্ধ হচ্ছে না। বিরোধীদের প্রশ্ন, বিমানটি ওড়ার পর যদি এই ঘটনা ঘটত, তাহলে কী হত? আরও প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে শুধুমাত্র ক্ষমা চেয়েই পার পেয়ে গেলেন তেজস্বী? তবে এই সব প্রশ্নর মাঝেই 'সময় নষ্ট' করতে নারাজ তেজস্বী।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup