সদ্য বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা দাপুটে বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে ‘যোগীর চাইনিজ ভার্সান’ বলে কটাক্ষ করেছেন। বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে পদ্ম শিবির শাসিত অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার তুলনা টানেন তেজস্বী। তেজস্বীর এই মন্তব্য নিয়ে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়েছে রাজনৈতিক আঙিনায়। আরজেডি নেতাকে পাল্টা তোপ দিয়েছে বিজেপিও। বিজেপির তরফে তেজস্বীকে ‘জাতি বিদ্বেষী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
বিজেপি নেতা শেহজাদ পুনাওয়ালা, তেজস্বীর মন্তব্য ও ভারতীয় ওভারসিস কংগ্রেসের প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্যাম পিত্রোদার মন্তব্যের মধ্যে তুলনা টেনেছেন। শেহজাদ পুনাওয়ালা সুর চড়িয়ে বলেছেন, ‘অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে তেজস্বী যাদব 'চাইনিজ' বলেছেন, কারণ তিনি উত্তর পূর্বের। এটা প্রতিফলিত করে ইন্ডি জোটের জাতিবিদ্বেষী মনোভাব ও মনে হচ্ছে তেজস্বী যাদবের মস্তিষ্ক দখল করে নিয়েছেন স্যাম পিত্রোদা।…' শেহজাদের প্রশ্ন, এই মন্তব্যকে কি সমর্থন করেন রাহুল গান্ধী কিম্বা গৌরব গগৈরা? তেজস্বীর পার্টির সঙ্গে এরপরও কংগ্রেস জোট রাখবে কি না, প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। তেজস্বীর মন্তব্যকে 'হিংসাত্মক' ও ‘জাতিবিদ্বেষী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন পুনাওয়ালা।
তেজস্বীকে এই মন্তব্য আসে অসমের সরকারের তরফে বিধানসভায় জুম্মার নমাজ পাঠে বিরতি নিয়ে এক পদক্ষেপের জেরে। সদ্য হিমন্ত সরকার, অসম বিধানসভায় জুম্মার নমাজ পাঠে ২ ঘণ্টার বিরতি সরিয়ে দিয়েছে। এর আগে, অসম বিধানসভায় মুসলিম বিধায়কদের জন্য শুক্রবারে জুম্মাবারে নমাজপাঠের জন্য ২ ঘণ্টা সময় বিরতি দেওয়া হত। সেই বিরতি তুলে দিয়েছে হিমন্ত সরকার। অসম সরকারের এই পদক্ষেপের পরই হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে ‘যোগীর চাইনিজ ভার্সান ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন তেজস্বী যাদব।
তেজস্বী যাদব বলেছেন,'আসামের মুখ্যমন্ত্রী, সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন এবং ‘যোগীর চিনা সংস্করণ’ (যোগীর চাইনিজ ভার্সান) হওয়ার চেষ্টায়, ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলমানদের হয়রানি করে এমন কাজ করে চলেছেন। বিজেপির সদস্যরা মুসলিম ভাইদেরকে ঘৃণা ছড়ানো, মোদী-শাহের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং সমাজের মেরুকরণের জন্য সফট টার্গেট বানিয়েছেন।' তেজস্বী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে লেখেন, ‘দেশের স্বাধীনতা অর্জনে আরএসএস ছাড়া সব ধর্মের মানুষের হাত রয়েছে এবং আমরা যতদিন আছি, ততদিন কোনও মাইকা লাল তাঁদের কিছ্ছু করতে পারবে না।’