এক সপ্তাহ আগেই ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের মামলায় বেকসুর খালাস পান সাংবাদিক তরুণ তেজপাল। তবে আদালতের সেই পূর্ণাঙ্গ রায়ে প্রকাশ্যে চলে আসতে পারে অভিযোগকারীর নাম। এর জেরে সেই রায় আপলোড হওয়ার আগে তা বদলানোর নির্দেশ দিল্লি বম্বে হাইকোর্টের গোয়া বেঞ্চ।
এই বিষয়ে বম্বে হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত রায়ের কপি আপলোড করা হয়নি। এটিতে নির্যাতিতা এবং তাঁর স্বামীর ইমেল আইডি রয়েছে। মামলাকারীর মায়ের নামও উল্লেখ করা রয়েছে এই রায়তে। তাই নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যায়ে নির্যাতিতার পরিচয় গোপন রাখার জন্য এই সব তথ্যকে গোপন রেখে রায়ে বদল করা হোক।
উল্লেখ্য ২০১৩-র এক ঘটনার প্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন মামলা চলেছে তেহলকার প্রাক্তন চিফ এডিটরের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি এক সহকর্মীকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন। সেই মামলায় গোয়ার মাপুসার জেলা ও দায়রা আদালত তরুণ তেজপালকে ধর্ষণের অভিযোগ থেকে রেহাই দেয়। গত 8 বছর ধরে তরুণ তেজপালের বিরুদ্ধে এই ধর্ষণের মামলা চলছিল।
২০১৩ সালের ৭ এবং 8 নভেম্বর গোয়ার বাম্বোলিমে এক পাঁচতারা হোটেলের লিফটে এক মহিলা সাংবাদিককের সঙ্গে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছিল তরুণ তেজপালের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের পর ওই বছর ৩০ নভেম্বর তেহলকার চিফ এডিটরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হাইপ্রোফাইল কেস হওয়ায় ঘটনাটি নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। দ্রুত মামলার তদন্ত করে গোয়া পুলিশ ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তরুণ তেজপালের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয়। অবশ্য তার কয়েকমাসের মধ্য়েই তরুণ তেজপালের জামিন মঞ্জুর করেছিল আদালত। তারপর দীর্ঘ ৮ বছর এই মামলার শুনানি চলার পর আদালত তরুণ তেজপালকে ধর্ষণের অভিযোগ থেকে রেহাই দিয়েছে একসপ্তাহ আগে৷ যদিও গোয়া সরকার জানিয়েছে যে তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবে।