তেলাঙ্গানার নিজামাবাদের শিক্ষিকা রাজিয়া বেগম কিছুদিন আগেই শিরোনাম কেড়েছিলেন এক অভূতপূর্ব ঘটনার জেরে। ২০২০ সালে যখন লকডাউনে স্তব্ধ ছিল গোটা দেশ, তখন ১৪০০ কিলোমিটার স্কুটি চালিয়ে রাজিয়া বেগম নেল্লোর থেকে ছেলেকে ঘরে ফিরিয়ে এনেছিলেন। সেই সময় এক সংকট থেকে ছেলেকে মুক্তি দিলেও, এবার রাজিয়ার ছেলে নিজামুদ্দিন আমান ইউক্রেনে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে এবার ছেলের ঘরে ফেরার অপেক্ষায় দিন রাত চোখের পাতা এক করতে পারছেন না রাজিয়া।
তেলাঙ্গানার এক সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা রাজিয়া। একক অভিভাবক হিসাবে তিনি বড় করেছেন সন্তানকে। এরপর ১৯ বছরের সন্তান নিজামুদ্দিন যায় ইউক্রেনে। সেখানে এমবিবিএস পাঠরত সে। তবে আচমকা যুদ্ধের দামামা, ঘুম কেড়ে নিয়েছে রাজিয়ার। গতবার লকডাউনে স্কুটির ওপর নির্ভর করে তিনি মনের জোরকে সম্বল করে তাঁর ছেলেকে ঘরে ফিরিয়ে আনেন। তবে এবার বহুক্রোশ দূরের বিভূঁইতে তাঁর ছেলে। ছেলেকে ফিরিয়ে আনার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী থেকে তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কাছে আর্জি জানিয়েছেন রাজিয়া। কড়া নেরেছেন রাজ্যর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতেরও। এদিকে, রাশিয়ার আক্রমণের পর ক্রমাগত ইউক্রেন থেকে উদ্বেগজনক ছবি উঠে আসছে। আর তা নিয়ে বিপুল উদ্বেগে তেলাঙ্গানার এই স্কুল শিক্ষিকা।
উল্লেখ্য, ইউরোপীয় দেশটির সামি স্টেট মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করছেন নিজাম। রাজিয়া শুনেছেন, তাঁর ছেলে নিজামুদ্দিন আমান বাঙ্কারে ছিলেন যুদ্ধের সময়। বাঙ্কার থেকে ফোন করে মাকে তাঁর অবস্থার কথা জানান নিজামুদ্দিন আমান। এরপর থেকেই উদ্বেগে রয়েছেন রাজিয়া। যদিও বাঙ্কার থেকে নিজামুদ্দিন জানিয়েছেন, তিনি সুস্থ রয়েছেন, চিন্তার কিছু নেই।