মানুষের যে কত ধরনের প্রতিভা হতে পারে, তা সত্যিই চাক্ষুষ না করলে অনেক সময় বিশ্বাস করাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়! কারণ, সেসব প্রতিভার অধিকাংশই বিরল এবং কিছুটা অদ্ভূতও বটে! এই যেমন - 'ড্রিল ম্যান'-এর কথাই ধরা যাক। ভারতের তেলঙ্গানার এই বাসিন্দা এক আজব কাণ্ড ঘটিয়ে গিনেস বুকে নিজের নাম তুলে ফেলেছেন! যা জানলে অধিকাংশ মানুষই হয়তো অবাক হবে।
কীভাবে গিনেস বুকে নাম তুললেন ‘ড্রিল ম্যান’?
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, 'ড্রিল ম্যান'-এর এক অদ্ভূত ক্ষমতা রয়েছে। তিনি অনায়াসেই বিদ্যুৎচালিত পাখার ঘোরা নিজের জিভ দিয়ে বন্ধ করে দিতে পারেন! আর সেই জন্যই তাঁকে 'ড্রিল ম্য়ান' বলা হয়!
তো এই ড্রিল ম্য়ান মাত্র ১ মিনিট সময়ের মধ্য়ে এভাবেই ৫৭টি বিদ্যুৎচালিত টেবিল ফ্য়ান বন্ধ করে নয়া রেকর্ড গড়েছেন! তাঁর কৃতিত্বের স্বীকৃতি দিয়েছে - গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষ।
কে এই 'ড্রিল ম্যান' ?
ভারতের দক্ষিণী রাজ্য তেলঙ্গনার একটি ছোট্ট শহর সুর্যপেটের বাসিন্দা হলেন এই ড্রিল ম্যান। তাঁর আসল নাম - ক্রান্তি কুমার পানিকেরা। যেখানে যেকোনও মানুষই ঘুর্ণায়মান পাখার ব্লেডের ধারেকাছেও যেতে ভয় পান, কারণ তাতে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে, সেখানে এই যুবক অনায়াত তাঁর জিভ দিয়ে দ্রুত গতিতে ঘোরা পাখাও বন্ধ করে দিতে পারেন! তাঁর এই কীর্তি দেখে লোকে সাধুবাদ যেমন দিচ্ছে, তেমনই ভয়ে খানিকটা সিঁটিয়েও যাচ্ছে।
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল ‘ড্রিল ম্যান’:
গিনেস কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুসারে, নির্দিষ্ট মঞ্চে নয়া রেকর্ড গড়েছেন ক্রান্তি কুমার। তাঁর রেকর্ড গড়ার সেই এক মিনিট সময়ের ঘটনা ইতিমধ্য়েই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। বহু মানুষ সেই মুহূর্ত রিপোস্ট করেছে। অনেকেই ক্রান্তিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। অনেকেই বলেছেন, তিনি হলেন প্রকৃত 'ডেয়ার ডেভিল'!
বিশ্ব রেকর্ডের দোরগোড়ায় কীভাবে পৌঁছলেন ‘ড্রিল ম্যান’?
টাইমস অফ ইন্ডিয়া-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, এই যাত্রা শুরু হয়েছিল বহু বছর আগে। যখন থেকে অদ্ভূত এবং উদ্ভট সব স্টান্ট করা শুরু করেছিলেন ক্রান্তি।
একেবারে প্রথম দিকে নিজের নাক এবং হাতের আঙুল ব্যবহার করে ঘুরন্ত পাখা বন্ধ করতেন তিনি। সেসব দেখে শিউড়ে উঠত দর্শক, মজাও পেত! এরপর জিভ দিয়ে পাখা বন্ধ শুরু করেন ক্রান্তি। তাতে সফলও হন। আর, এবার সেভাবেই বিশ্ব মঞ্চে স্বীকৃতি লাভ করলেন ক্রান্তি ওরফে 'ড্রিল ম্যান'!