ইউনেসকো হেরিটেজের তকমা পেল তেলাঙ্গানার ওয়ারাঙ্গল জেলার পলমপেটে অবস্থিত রামাপ্পা মন্দির। এই বিষয়টি রবিবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানায় কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি। তিনি লেখেন, 'আমি খুব আনন্দের সঙ্গে এই কথা জানাচ্ছি যে পলমপেটে অবস্থিত রামাপ্পা মন্দিরকে ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তকমা দিয়েছে। দেশের পক্ষ থেকে আমি তেলাঙ্গানার মানুষকে অভিনন্দন জানাতে চাই। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মোদীর পথ নির্দেশনা এবং সমর্থনের জন্যে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই।'
উল্লেখ্য, এই রামাপ্পা মন্দিরটি ত্রয়োদশ শতাব্দীতে তৈরি করেছিলেন রামাপ্পা নামক এক কংবদন্তী ইঞ্জিনিয়ার। ২০১৯ সালে এই মন্দিররটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্যে ইউনেসকোর কাছে আবেদন জানিয়েছিল ভারত। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই এই মন্দিরটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তালিকায় যোগ করল ইউনেসকো।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এই মন্দির হেরিটেজ সাইটের তকমা পাওয়ায়। তিনি টুইট করে এই বিষয়ে লিখেছেন, 'দুর্দান্ত! সবাইকে শুভেচ্ছা। বিশেষ করে তেলাঙ্গানার মানুষকে আমি শুভেচ্ছা জানাতে চাই। কাকাতিয়া বংশের দুর্দান্ত হাতের কাজ এই রামাপ্পা মন্দিরে দেখা যায়। আমি সবাইকে অনুরোধ করব যাতে এই জাদুময় মন্দিরে গিয়ে একবার ঘুরে আসেন।'
এদিকে রবিবার দক্ষিণ-পূর্ব চিনে অবস্থিত কুয়াংঝাউ শহরের ২২টি স্থাপত্যও ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি মন্দির রয়েছে যা হিন্দু ধর্মের সঙ্গে যুক্ত। এদিকে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পের নকশার ঐতিহাসিক ভিত্তি ফুটে উঠেছে এই নতুন তালিকায়। উল্লেখ্য, চিনের এই ফুজিয়ান প্রদেশে আদিকাল থেকে তামিলনাড়ুর কয়েকজন বাসিন্দা বসবাস করেন। ইউনেসকোর ৪৪তম ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট সম্পর্কিত বৈঠকে এই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।