ভারতে টেলিকমের ব্যবসা এখন আড়াইখানা সংস্থারই দখলে। ধীরে ধীরে সংকটে পড়ছে আরও একটি সংস্থা। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন ভারতী এয়ারটেলের চেয়ারম্যান সুনীল মিত্তল।
আমাজন সম্ভব অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মিত্তল বলেন, '২০১৬ সালে Jio-র লঞ্চ-সহ একাধিকবার অত্যন্ত্য আশঙ্কাজনক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছে Airtel। কিন্তু তার মধ্য থেকেও লড়াই করে ঘুরে দাঁড়িয়েছি আমরা। কঠিন পরিস্থিতিতেও যে এয়ারটেল এগিয়ে চলতে পারে, তার প্রমাণ এটাই।' তিন থেকে চারবার বড়সড় সংকটের পরিস্থিতির মধ্য থেকে বেরিয়ে এসেছে এয়ারটেল। আর তারপরেও এয়ারটেল বেশ ভালো পারফর্ম করেছে, বলেন সুনীল মিত্তল।
তবে জিও বাজারে আসায় যে অন্যান্য সকল টেলিকম সংস্থা বেশ সংকটের পরিস্থিতিতে পড়েছিল, সে কথাও উল্লেখ করেন তিনি। সুনীল বলেন, '২০১৬ সালে যখন Jio লঞ্চ হল, তখন এক বছর বিনামূল্যে পরিষেবা দিচ্ছিল। সেই সঙ্গে আরও এক বছর অনেকটা ছাড়। তার সঙ্গে সস্তায় নিজেদের ফোন। এই পরিস্থিতিতে অন্যান্য সংস্থা কী করে লড়াই করত?'
সুনীল বলেন, 'জিও-র এই নীতির ফলেই অন্যান্য প্রায় ৯-১২টি সংস্থা ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হয়। সংস্থাগুলি দেউলিয়া হয়ে যায় বা পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্তিকরণে বাধ্য হয়।' নাম না করে মিত্তল বলেন, 'দিন দিন আরও একটি সংস্থা বাজারের দখল হারাচ্ছে। ফলে ১৩০ কোটির দেশে খালি আড়াইখানা মতো অপারেটর বর্তমানে।'