দীর্ঘমেয়াদী ভিসায় তিন দশকের বেশি সময় ধরে ভারতে থেকেছেন। অবশেষে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেলেন পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া কমলা গাট্টু। গত সপ্তাহে ভারতীয় নাগরিক হয়েছেন তিনি। কমলা একজন তেলেগুভাষী পরিবারের মহিলা। একসময় করাচির অভিজাত ক্লিফটন এলাকায় বসবাস করতেন। দীর্ঘ সময় ধরে ভারতে থাকার পরে নাগপুরে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) অধীনে আবেদন করেছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, অনেক তেলেগুভাষী মানুষ ব্রিটিশ শাসনের সময় সিন্ধুতে বসতি স্থাপন করেছিলেন এবং দেশভাগের পরেও তাঁরা সেখানে থেকে গিয়েছেন। কমলা সেরকমই একটি পরিবারের মহিলা।
আরও পড়ুন: বাড়িতে বসেই হয়ে যান ভারতীয় নাগরিক! কীভাবে অনলাইনে আবেদন করবেন? দেখুন ধাপে-ধাপে
জানা যাচ্ছে, অনেক সিন্ধু বংশীয় অভিবাসী সিএএ-এর মাধ্যমে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন। সেরকম কমলাও নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন। তবে নাগরিকত্ব পেতে তাঁকে দীর্ঘ লড়াই করতে হয়েছে। জানা যায়, ভারতে নাগরিকত্বের জন্য তিনি চেষ্টা শুরু করেছেন ১৯৯০-এর দশক থেকে। সেই সময় তিনি করাচি থেকে ভারতে চলে আসেন। তিনি জানান, করাচিতে তাঁর পরিবার অবিভক্ত ভারতের তেলেগুভাষী অঞ্চল থেকে স্থানান্তরিত হওয়ার পর ১৯৩০ সাল থেকে বসবাস করছে। আসলে কমলার বাবা ও মা, যথাক্রমে মানাজি বাঙ্কার এবং মোনাবাই আরও ভালো সুযোগের সন্ধানে করাচিতে চলে গিয়েছিলেন। তবে পরিবারটি স্বাধীনতার পরও সেখানে থেকে যায়। কমলা এবং তাঁর বোন ভগবন্তী শেষ পর্যন্ত নাগপুরের তেলেগু পরিবারে বিয়ে করেছিলেন। কমলা বলেন, প্রবাসীদের সহায়তাকারী একটি এনজিও তাঁকে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করেছিলেন। তিনি ২০২২ সালে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন।
গত সপ্তাহে যখন তিনি আনুষ্ঠানিক লাল কার্ড পেয়েছিলেন তখন তিনি ভারতীয় নাগরিক হিসাবে নতুন মর্যাদা পান। তিনি জানান, বোন ভগবন্তীও সম্প্রতি লাল কার্ড পেয়েছেন। কমলা নাগরিকত্ব পাওয়ার পরেই আনন্দিত হয়ে ওঠেন পরিবারের সদস্যরা। জানা গিয়েছে, কমলার দুই ভাই পাকিস্তানে থাকেন। তাদের দুই স্ত্রীই গুজরাটি হিন্দু। কমলা বলেন, ‘আমি যখন পাকিস্তানি নাগরিক ছিলাম তখন মাত্র দুবার সেখানে গিয়েছিলাম। এখন একজন ভারতীয় হিসেবে আমি শুধুমাত্র ভিজিট ভিসায় সেখানে যেতে পারি। আমি চাই নিয়মগুলি আরও শিথিল করা হোক।’ কমলা বলেছেন, ‘আমরা ক্লিফটনের একটি ফ্ল্যাটে থাকতাম এবং সেখানে প্রতিবেশীরা সকলেই ভালো মনের মানুষ।’