দ্য অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মসের রিপোর্টে এবার দেশের একাধিক মুখ্যমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বড় তথ্য় সামনে এসেছে। একদিকে যখন আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলছেন তখনই সামনে এসেছে এডিআর -এর সেই রিপোর্ট। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ৩০জন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ৩৭ শতাংশ নিজেদের গ্র্র্যাজুয়েট বলে দাবি করেছেন। ১৪ শতাংশ নিজেদের গ্র্যাজুয়েট প্রফেশনাল বলে দাবি করেছেন। ৩০ শতাংশ নিজেদের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট বলে দাবি করেছেন। তিন শতাংশ মুখ্য়মন্ত্রী রয়েছেন যিনি ক্লাস ১০ পাস, ডক্টরেট ও ডিপ্লোমাপ্রাপ্ত। ১০ শতাংশ মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের নির্বাচনী হলফনামায় দাবি করেছেন তাঁরা দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন।
বুধবারই এই এডিআর রিপোর্ট সামনে এসেছে। ৪৩ শতাংশ মুখ্যমন্ত্রী হলফনামায় জানিয়েছিলেন, গুরুতর ফৌজদারি মামলা ঝুলে রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। এদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক হলফনামায় জানিয়েছিলেন তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ মাত্র ১৫.৩৮ লাখ টাকার।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চেয়ে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছেন আপ নেতৃত্ব। তাঁরা এনিয়ে পোস্টারও দিচ্ছেন। ডিগ্রি দিখাও বলে জোর প্রচার শুরু করেছেন আপ নেতৃত্ব। মোদীর বিএ ও এমএ ডিগ্রি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আপ নেতৃত্ব।
এদিকে মোদীর ডিগ্রি দেখানো নিয়ে কেন্দ্রীয় তথ্য় কমিশনের নির্দেশকে কার্যত খারিজ করে দিয়েছে গুজরাট আদালত। তারপরই কেজরিওয়াল ইতিমধ্যেই টুইট করে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী কতটা শিক্ষিত সেটা জানার অধিকারও দেশের মানুষের নেই? কোর্টে ডিগ্রি দেখানোর ক্ষেত্রেও তারা আপত্তি জানিয়েছেন। কেন? যারা ডিগ্রি দেখতে চাইছেন তাদের জরিমানা করা হবে বলে বলা হচ্ছে। এটা কি হচ্ছে? একজন অশিক্ষিত ও কম শিক্ষিত প্রধানমন্ত্রী দেশের পক্ষে ক্ষতিকর এটা আমাদের জানতে হবে।
বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র আপ প্রধানের এই দাবিকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আসলে কেজরিওয়াল যেটা করছেন সেট তাঁর হতাশার বহিঃপ্রকাশ।তার সরকারের মন্ত্রীরা জেলে রয়েছেন। সেকারণে তিনি এমন হতাশ।