কয়েকদিন আগেই একপ্রস্ত হাতাহাতি হয়েছে। এবার লাদাখে ফের মুখোমুখি ভারত-চিন সেনা সীমান্ত এলাকায়। প্যানগঙ্গ লেকের কাছেই এই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্তত দুটি চিনা সামরিক হেলিকপ্টারকে সীমান্তের কাছে চক্কর কাটতে দেখা গিয়েছে। ভারতীয় সুখোই-৩০ জেটও এলাকায় ঘোরাঘুরি করে এসেছে।
তবে আপাতত কোনও হাতাহাতি হয়নি ৫ তারিখের পর, যেদিন রীতিমত রড ইত্যাদি নিয়ে মারপিট হয়ে দুই দেশের সৈন্যদের মধ্যে। আপাতত নিজেদের স্থানেই দুই বাহিনী আছে। পরে গণ্ডগোল লাগতে পারে এই আশঙ্কায় সেনা বাড়িয়েছে উভয় দেশ। এখনও চাপা উত্তেজনা আছে বলে সূত্রের খবর যদিও ৬ মে দই দেশের স্থানীয় কম্যান্ডারদের মধ্যে বৈঠকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল।
সরকারি ভাবে অবশ্য সেনাবাহিনী বিষয়টি স্বীকার করতে চাইছে না। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেন যে মাঝে মাঝে সীমান্তে একটু উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। তারপরে আবার শান্ত হয়ে যায় সবকিছু। সীমান্ত ইস্যু যেহেতু মীমাংসা হয়নি, তাই এই রকম ঝামেলা হয় বলে তিনি জানান। একই সঙ্গে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেন প্যানগঙ্গে লেকে দুই পক্ষ সেনা বাড়াচ্ছে, এটা ঠিক নয়। টানা ওখানে দুই সেনার মধ্যে স্নায়ুর লড়াই হচ্ছে, সেটা ঠিক নয়।
সূত্রের খবর ওই অঞ্চলে চিনের হেলিকপ্টার দেখা অস্বাভাবিক নয়। ভারতেরও তিনটি বেস আছে, তাই ভারতের চপারও দেখা যায়। তবে ভারতীয় সীমান্তের ভিতরে চিন প্রবেশ করেনি বলে বায়ুসেনা সূত্রে জানা গিয়েছে। মে ৬ থেকে ওখানে সর্টি চালাচ্ছে সুখোই সহ বিভিন্ন যুদ্ধজাহাজ। তার আগে পাঁচ মে ভারতীয় ও চিনা সেনারা একে অপরের সঙ্গে লাঠি, রড ইত্যাদি নিয়ে মারপিট করেছিলেন। উভয় দিকেই অনেকে আহত হন।
অন্যদিকে গত শনিবার সিকিমের নাকু লা-য় ভারতীয় ও চিনা সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সাতজন চিনা ও চারজন ভারতীয় সেনা আহত হয়। ২০১৭ সালে ডোকলামে ৭৩ দিন ধরে চিন-ভারত সেনাদের মধ্যে ডোকলামে ফেস-অফ হয়েছিল। তারপরে উহানে ও মাম্মালামপুরে শি জিনপিং ও মোদীর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করার জন্য বৈঠক হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে কতটা কাজের কাজ হয়েছে, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।