অসমের যোগীঘোপায় ব্রহ্মপুত্র নদের উপর একটি অত্যাধুনিক অভ্যন্তরীণ জলপথ টার্মিনালের উদ্বোধন হল। এটির উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় বন্দর, জাহাজ চলাচল ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। এরফলে ভুটান এবং বাংলাদেশের সঙ্গে জলপথে বাণিজ্য আরও সহজ হবে। তাতে এই দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছে কেন্দ্র। অসমে এই জলপথ টার্মিনালের উদ্বোধনের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন: দেউচা পাঁচামিতে খনির কাজ শুরু হয়ে গেল, এখানে বন্দর আর হল না! আক্ষেপ তাজপুরবাসীর
মঙ্গলবার উদ্বোধনের সময় কেন্দ্রীয় নৌপরিবহন মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল জানান, এই বন্দরটি প্রধানমন্ত্রী গতি শক্তি মাস্টার প্ল্যানের অংশ। ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই টার্মিনাল তৈরির জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। মাত্র চার বছরের মধ্যে সেটি সম্পন্ন হয়ে চালু হয়ে গেল। কেন্দ্র সরকার মনে করছে, আগামী দিনে এটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম প্রধান বন্দর হয়ে উঠবে।মঙ্গলবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন ভুটানের বাণিজ্যমন্ত্রী লিওঁপো নামগিয়াল দোর্গি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘যোগীঘোপা টার্মিনালটি এই অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করবে এবং ভুটান ও বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের ত্রিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। কৌশলগত অবস্থান এই অঞ্চলের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে তুলবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘প্রতিবেশী প্রথমে’ নীতি আরও কার্যকর হবে।’
উল্লেখ্য, বন্দরটি ভুটানের গেলেফু মাইন্ডফুলনেস সিটি থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। অন্যদিকে, দেশটি বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটার এবং গুয়াহাটি থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই বন্দরের মাধ্যমে বছরে ১.১ মিলিয়ন টন পণ্য পরিবহণ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার উদ্বোধন উপলক্ষে ১১০ টন কয়লা এবং পাথরের টুকরো নিয়ে ‘এমভি ত্রিশূল’ নামে একটি জাহাজ এবং ‘অজয়’ এবং ‘দীক্ষা’ নামে দু’টি বার্জ বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এক্স পোস্টে লিখেছেন, ‘এটি পূর্বাঞ্চলে অভ্যন্তরীণ জলপথ টার্মিনালের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক মাইনফলক।’ তার প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নৌপথের উন্নয়নের আমাদের প্রচেষ্টায় এটি একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।’