সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে দ্বিচারিতা নিয়ে তুমুল আক্রমণ শানালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। ভারতের বিদেশমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বললেন, ‘সন্ত্রাসবাদ হল সন্ত্রাসবাদ। কোনও রাজনৈতিক বিষয় দিয়ে কখনও সেটার সাফাই দেওয়া যায় না।’ সেইসঙ্গে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় কী কী করতে হবে, সেই বার্তাও দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী।
শনিবার 'নো মানি ফর টেরর' সম্মেলনে নাম না করে পাকিস্তান এবং চিনকে আক্রমণ শানান ভারতের বিদেশমন্ত্রী। যে দেশগুলি সন্ত্রাসবাদকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে এবং রাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠতে পারে না, সেই দেশগুলির চূড়ান্ত সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, সন্ত্রাস হামলায় জড়িত জঙ্গিরা, সন্ত্রাসবাদে অর্থের জোগান দেওয়া লোকজনরা মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। রাষ্ট্রের সহায়তা এবং আতিথেয়তা পাচ্ছে। জয়শংকরের কথায়, 'সাম্প্রতিক উদাহরণ হিসেবে আমরা ২০০৮ সালের মুম্বই জঙ্গি হামলার বিষয়টা জানি।'
দীর্ঘদিন ধরেই নয়াদিল্লি অভিযোগ করে আসছে যে পাকিস্তানের মদতে লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গি সংগঠন ভারতে হামলা চালাচ্ছে। সেইসঙ্গে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিদের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর ক্ষেত্রে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারত ও আমেরিকা যৌথভাবে চেষ্টা করলেও তাতে চিন বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ নয়াদিল্লির। তার ফলে নয়াদিল্লি এবং বেজিংয়ের সম্পর্ক ‘শীতল’ হয়েছে।
আরও পড়ুন: Terrorism: কিছু দেশ সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেয়, অমিত শাহের নিশানায় কারা?
ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের প্রতি সব দেশকে একত্রিতভাবে অভিন্ন এবং জোরদার দৃষ্টিভঙ্গি মেনে চলতে হবে। সন্ত্রাস হল সন্ত্রাস। কোনও রাজনৈতিক কারণ দর্শিয়ে কখনও সেটার সাফাই দেওয়া যায় না। এই ভয়ঙ্কর বিষয়ের সমাধানের রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠতে হবে বিশ্বকে। সবদিক থেকে যে কোনও পরিস্থিতিতে সর্বত্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে পারে।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাসের ক্ষেত্রে আমরা কখনও মুখ ঘুরিয়ে নেব না। আমরা কখনও আপস করব না এবং বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের যে লক্ষ্য আছে, তা কোনওদিন ছাড়ব না।’