পহেলগাঁও কাণ্ডের আবহে ভয়ে ট্রাম্পের দ্বারস্থ, তবে পাকিস্তানিকে পাত্তাই দিল না আমেরিকা

'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিটি সন্ত্রাসবাদের তীব্র নিন্দা জানায়।'পহেলগাঁও-কাণ্ডে ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানি সাংবাদিকের প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস। জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে খুন করা হয়েছে ২৬ জন নিরীহ ভারতীয়কে। তাদের মধ্যে ৩ জন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাও রয়েছেন। এই ঘটনায় গোটা দেশ যখন তোলপাড়, তখন ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবারের হামলার পরেই মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার কাছ থেকে পুঙ্খানুপুঙ্খ খোঁজ নিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর কিছুক্ষণ পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করেন তিনি। (

এই আবহে পাক সাংবাদিকের ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস। তিনি বলেন, 'আমি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। আমি এই পরিস্থিতির বিষয়ে আর কিছু বলব না। প্রেসিডেন্ট এবং বিদেশ সচিব ইতিমধ্যে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। আমি এই নিয়ে আর কোনও কথা বলব না।' পাশাপাশি পহেলগাঁও হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং বিদেশমন্ত্রী রুবিও ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং প্রতিটি সন্ত্রাসবাদের তীব্র নিন্দা জানায়।'তিনি বলেন, 'এই হামলায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের জন্য আমরা প্রার্থনা করি, আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি এবং এই জঘন্য হামলার দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হোক।'

হামলায় পাকিস্তানের ভূমিকা সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য সম্পর্কে মুখপাত্র বলেন, আমেরিকা পরিস্থিতির উপর গভীর নজর রাখছে। ট্যামি বলেন, 'এটি একটি দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি এবং আমরা এটি খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা এই মুহূর্তে কাশ্মীর বা জম্মুর পরিস্থিতি নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক অবস্থান নিচ্ছি না। এখন এর চেয়ে বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।' এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাশ্মীরে জঙ্গি হানার খবরে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে। এই হামলায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন তিনি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন ট্রাম্প।