বড়সড় জিহাদি হামলা আফ্রিকার ‘মালি’তে। ‘মালি’র নাইজার নদীতে এই হামলা হয়। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার। ওই দিন উত্তর মালির নাইজার নদীতে একটি সেনা ঘাঁটিতে হামলা হয়। পাশপাশি একটি যাত্রীবাহী বোটতেও হামলা করে জিহাদিরা। মালি সরকার জানিয়েছে, হামলায় মোট ৬৪ জন নিহত হন। এর মধ্যে ৪৯ জন ছিলেন এলাকার সাধারণ নাগরিক। অন্য দিকে, ১৫ জন সেনা আর্মি ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় সরকার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন।
(আরও পড়ুন: না লাগল শুক্রাণু, না লাগল ডিম্বাণু! কীভাবে মানুষের ভ্রুণ বানালেন বিজ্ঞানীরা)
মালিতে দিন দিন বেড়েই চলেছে জিহাদি কার্যকলাপ। গত মাসের শেষ থেকেই মালির উত্তর দিকের রাজ্য টিমবকটু অবরোধ করা হয়েছে। এমনকি যানবাহনের উপরও হামলা করা হচ্ছে। সম্প্রতি ওই দেশের জাতীয় সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রচারিত হয়। যদিও তা যাচাইয়ের কোনও সুযোগ নেই। বড়সড় হামলার দিন একটি যাত্রীবাহী বোট গাও থেকে মপতি যাচ্ছিল। সেই পথেই জিহাদিরা হামলা করে বোটর উপর। নাইজার নদীর বুকেই এই হামলা করা হয়। হামলায় নিহত হন ৪৯ জন সাধারণ নাগরিক।
(আরও পড়ুন: কোন কোন উপসর্গ দেখলেই বুঝবেন রেবিস? এই রোগ সম্পর্কে কীভাবে সতর্ক করবেন শিশুদের)
প্রসঙ্গত মালির ওই অংশে রাস্তাঘাট ও রেলের অবস্থা একেবারেই শোচনীয়। ফলে যাতায়াতের জন্য অধিকাংশ যাত্রীই জলপথ ব্যবহার করেন। সেই সুযোগকেই এই দিন কাজে লাগায় হামলাকারী জঙ্গিরা। নাইজার নদীর জলপথ দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জলপথ। সেই জলপথ দিয়ে বোট যাওয়ার সময় অতর্কিতে আক্রমণ করা হয়। মৃত্যু হয় ৪৯ জনের। অন্যদিকে উত্তর মালির গাও অঞ্চলের একটি সেনা ক্যাম্পেও হামলা চালায় এই জঙ্গিবাহিনী। প্রসঙ্গত সেখান থেকেই আসছিল এই যাত্রীবোঝাই বোটটি। নিহত হন ১৫ জন সৈনিক।
ওই বোটটির মাঝি কমোনাভ সংবাদমাধ্যম এএফপিকে জানিয়েছে, কমপক্ষে তিনটি রকেট ছুঁড়ে হামলা করা হয়। বোটের ইঞ্জিন লক্ষ করে সেগুলি ছোঁড়া হয়। ওই আক্রমণেই নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় সাধারণ মানুষদের। আর্মিরা বাঁচানোর চেষ্ট করলেও নিহত হন ৪৯ জন।