বদলা নিল নিরাপত্তা বাহিনী। গত শুক্রবার সিআরপিএফ জওয়ান শ্যামল কুমার দে'র মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত দুই জঙ্গিকে খতম করল সেনা এবং সিআরপিএফের একটি যৌথ দল।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার ওয়াগামাতে জঙ্গিদের উপস্থিতির নির্দিষ্ট খবর পেয়ে অভিযান শুরু করে ভারতীয় সেনার ৩ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস এবং সিআরপিএফের একটি যৌথ দল। জঙ্গিদের খুঁজে বের করে তাদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালায় জঙ্গিরা। পালটা জবাব দেয় যৌথ দল। গুলির লড়াইয়ে দুই অজ্ঞাতপরিচয় জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে।
পরে কাশ্মীরের আইজি বিজয় কুমার জানান, গত বছর এক পুলিশকর্মীর হত্যার ঘটনায় যুক্ত ছিল জাহিদ দাস ও মৃত দুই জঙ্গি। এছাড়াও সম্প্রতি দুই সিআরপিএফ জওয়ান এবং এক নাবালককে হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিল তারা। সংবাদসংস্থা এএনআইকে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশের ডিজি দিলবাগ সিংও জানান, শুক্রবার অনন্তনাগের বিজবেহরা এলাকায় এক সিআরপিএফ জওয়ান এবং পাঁচ বছরের ছেলেকে খুন করেছিল।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিজবেহরার পাদশশী ব্রিজের কাছে সিআরপিএফের ৯০ নম্বর ব্যাটেলিয়নের গুলি চালিয়েছিল জঙ্গিরা। ঘটনায় আহত হন সিআরপিএফ জওয়ান শ্যামল কুমার দে ও এক নাবালক। পরে হাসপাতালে দু'জনের মৃত্যু হয়। শ্যামল কুমার দে আদতে পশ্চিমবঙ্গের সবংয়ের বাসিন্দা ছিলেন। সেই ঘটনায় জড়িত জাহিদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে এএফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সে জঙ্গি সংগঠন জেকেআইএসের সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।