প্রবল শীতে বন্ধ হয়ে যাবে উত্তর দিকে বিভিন্ন পাস। বাড়বে বরফের মাত্রা। তার আগে নয়া উপায় হিসেবে ভারতের পশ্চিম সীমান্তের দক্ষিণাংশ দিক দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে জঙ্গিরা। এমনটাই জানালেন ভারতীয় সেনার প্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে।
শনিবার কেরালার কান্নুরে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, শীতের আগমনের ফলে বিভিন্ন পাসে তুষার জমে অনুপ্রবেশ করা অসম্ভব হয়ে যাবে। সেজন্য মরিয়া হয়ে অনুপ্রবেশের নয়া উপায় খুঁজছে জঙ্গিরা। তিনি বলেন, 'সেই কারণেই ওরা (জঙ্গিরা) দক্ষিণ দিকে সরে যাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর সুড়ঙ্গ-সহ দিয়ে নীচু এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে।'
গত রবিবার জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্বা সেক্টরের রিগ্যাল পোস্টের কাছে সুড়ঙ্গের হদিশ মিলেছিল। যে সুড়ঙ্গটি ব্যবহার করেছিল নাগরোটায় গুলির লড়াইয়ে খতম হওয়া চার জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি। বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছিল, পাকিস্তান রেঞ্জার্সের চকভুরা থেকে সেই সুড়ঙ্গটি শুরু হয়েছে। ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রায় ১৬০ মিটার ভিতর পর্যন্ত এসেছিল। ছোটো ছোটো কাঠের পাটাতন দিয়ে সেটিকে মজবুত করা হয়েছে। সেটির গভীরতা প্রায় ২০ ফুট এবং তিন ফুট চওড়া। সুড়ঙ্গের মুখ প্রায় ১.৫ ফুট চওড়া। যেখান দিয়ে অনায়াসে ৩২ ইঞ্চির কোমর পার করে যেতে পারে। সুড়ঙ্গের মুখ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বালির বস্তা। তাতে লেখা ছিল ‘অ্যাঙ্গরো ফার্টিলাইজার, করাচি, পাকিস্তান’।
ভারতীয় সেনা প্রধান জানান, নয়া কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের 'স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত' করার জন্য ভারতের অনুপ্রবেশের লাগাতার চেষ্টা করে যাচ্ছে জঙ্গিরা। যেখানে সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের পর প্রথমবার ভোট হয়েছে। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, কুলগামে পাথর ছোড়ার ছোটো ঘটনা ছাড়া মোটের উপর শান্তিপূর্ণভাবেই মিটেছে জেলার উন্নয়ন পরিষদের ভোট।
জেনারেল নারাভানে বলেন, 'আমাদের পশ্চিমাংশের সীমান্তে যে পরিস্থিতি আছে, তাতে সন্ত্রাসবাদ বিপদ তৈরি করছে এবং যাবতীয় চেষ্টা সত্ত্বেও তা হ্রাস পাচ্ছে না।স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার জন্য জম্মু ও কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের লাগাতার চেষ্টা করে যাচ্ছে জঙ্গিরা।'