মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে এই প্রথমবার মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত কোনও ব্যক্তির হদিশ মিলল। শুক্রবার এ বিষয়ে ঘোষণা করে সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (CDC) ।
এক মার্কিন নাগরিকের দেহে এই সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তিনি অতি সম্প্রতি নাইজেরিয়ায় গিয়েছিলেন। বর্তমানে ড্যালাস-এর একটি হাসপাতালে তিনি চিকিত্সাধীন।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এটি একটি বিরল রোগ। কিন্তু এটা নিয়ে অযথা আতঙ্কের কিছু নেই। সাধারণ মানুষের ভয় নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইট অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ১৫টি দেশে এই রোগের রেকর্ড রয়েছে।
১৯৭০ সালে প্রথম পশ্চিম আফ্রিকার বেশ কিছু দেশে মাঙ্কি পক্স সংক্রমণের কথা মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হয়। ২০০৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবার বেশ কয়েকজন মাঙ্কি পক্স আক্রান্তের হদিশ মেলে।
সিডিসি জানিয়েছে, এই মুহূর্তে যে বাণিজ্যিক উড়ানে ওই ব্যক্তি এসেছিলেন, সেই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ওই উড়ানের প্রত্যেকের স্বাস্থ্য কেমন আছে, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মাঙ্কি পক্স :
স্মল পক্স-এর বিষয়ে আমরা সকলেই প্রায় অবহিত। সেই একই ধারার ভাইরাস মাঙ্কি পক্স। এটি তুলনায় অনেক বেশি বিরল।
মাঙ্কি পক্সের উপসর্গ
অন্যান্য পক্সের তুলনায় এতে সারা দেহে অনেক বেশি র্যাশ বের হয়। সেই সঙ্গে তীব্র জ্বর, সর্দি, সারা দেহে যন্ত্রণা।
কীভাবে সংক্রমণ ছড়ায়
আক্রান্ত ব্যক্তির ড্রপলেট থেকে। অর্থাত্ কোভিডের মতো করেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার জন্য এখন প্রায় সকলেই মাস্ক পরছেন। ফলে ওই বিমানের অন্যান্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা কম।