ভেঙে পড়লেনঋণের চাপে গণহত্যার পরিকল্পনা ছকে থাইল্যান্ডের শপিং মলে তাণ্ডব চালাল এক সৈনিক। ২৬ জন নিরস্ত্র মানুষকে হত্যার পরে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে মারা গিয়েছে বন্দুকবাজ।
টানা ১৭ ঘণ্টা ধরে কোরাট শহরের 'টার্মিনাল ২১' মলের ভিতরে তাণ্ডব চালায় থাই সেনাবাহিনীর এই সদস্য। তার গুলির নিশানা হয়ে মারা গিয়েছেন ১৩ বছরের কিশোর-সহ ২৬ জন নাগরিক। আহত হয়েছেন চল্লিশ জন।
রবিবার সকালে বিদ্রোহী সেনাকে গুলি করে হত্যা করার পরে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুত চ্যান-ও-চা বলেছেন, ‘থাইল্যান্ডে এমন ঘটনা অনভিপ্রেত। আমি চাই এমন সমস্যা যেন আর না ঘটে।’
জানা গিয়েছে, আহতদের মধ্যে দু’জনের মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে।
প্রাক্তন সেনাপ্রধান অধুনা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী চ্যান-ও-চা জানিয়েছেন, বাড়ি বিক্রি কেন্দ্র করেঅবসাদের জেরে শনিবার দুপুরে সেনা-ব্যারাকের কাছাকাছি ওই শপিং মলে বন্দুক নিয়ে ঢুকে পড়ে সার্জেন্ট মেজর জাকরাপন্থ থোম্মা। তার আগে ব্যারাক থেকে একটি এম৬০ মেশিনগান ও একাধিক রাইফেল চুরি করে সে।
তার গুলি বিঁধে হতাহতরা সকলেই শপিং মলের ভিতরে ও বাইরে ছিলেন। অস্ত্র উঁচিয়ে বেশ কয়েকজনকে সে পণবন্দি করে বলে জানা গিয়েছে। ফেসবুক মারফত্ প্রতি মুহূর্তে আত্মীয়-বন্ধুদের সহ্গে যোগাযোগ রাখেন পণবন্দিরা।
খবর পেয়ে শপিং মল ঘিরে ফেলে নিরাপত্তাবাহিনী। মলের ভিতরে ঘাঁটিগাড়া দুষ্কৃতীকে নিরস্ত করতে এরপর প্রবেশ করে বাহিনী। দুই পক্ষের মধ্যে রাতভর চলে গুলির লড়াই। অসহায় নাগরিকদের কেউ কেউ আশ্রয় নেন শৌচাগারে, কেউ আত্মগোপন করেন স্টোররুমের ভিতরে। এদিকে মলজুড়ে দাপিয়ে বেড়ায় সশস্ত্র হানাদার। অবশেষে এ দিন ভোরে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে মারা যায় থোম্মা।
আতঙ্কিতদের শপিং মল থেকে উদ্ধার করে আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে নিরাপত্তাবাহিনী।