থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্ব প্রদেশে একটি ডে-কেয়ার সেন্টারে নির্বিচারে গুলি চলল। বন্দুকবাজের এই হামলায় অন্তত পক্ষে ৩৪ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃতদের মধ্যে ২২ জন শিশু। এদিকে এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে এক প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিকের দিকে। অভিযুক্তের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালায় থাই পুলিশ। তবে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার আগেই সে আত্মহত্যা করে। ঘটনা প্রসঙ্গে ডেপুটি পুলিশের মুখপাত্র আর্চন ক্রাইটং রয়টার্সকে বলেছেন, ‘কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছে এই ঘটনায়। বিস্তারিত সব তথ্য এখনও জানা যায়নি।’ পরে পুলিশের তরফে জানানো হয়, অন্তত পক্ষে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়।
ঘটনায় শিশুদের পাশাপাশি প্রাপ্ত বয়স্ক বেশ কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। থাই প্রধানমন্ত্রী দেশের সমস্ত নিরাপত্তা সংস্থাকে ব্যবস্থা নিতে এবং অপরাধীকে গ্রেফতার করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য নির্দেশ দেন। পরে জানা যায় অভিযুক্ত আত্মহত্যা করে। উল্লেখ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় থাইল্যান্ডে বন্দুকের মালিকানার হার বেশি। তবে বেআইনি অস্ত্রের সংখ্যা এই দেশে খুবই কম। আর তাই এই ধরনের ঘটনা সচরাচর সেখানে ঘটে না।
এর আগে ২০২০ সালে থাইল্যান্ডে একটি জমি বিবাদ ঘিরে এলোপাথারি গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। পাশাপাশি ৫৭ জন জখম হয়েছিল। সেবার ঘটনাটি ঘটিয়েছিলেন একজন সেনাকর্মী। আর এবারের ঘটনা ঘটালেন এক পুলিশ কর্তা। তবে ঠিক কী কারণে আজকের এই ঘটনা ঘটাল সেই পুলিশ কর্তা, তা এখনও জানা যায়নি। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে।