অনামিকা ঘরাত
একেবারে গল্পের মতো গোটা ঘটনাটি।মঙ্গলবার দিনের একেবারে ব্যস্ততম সময়ে এক মহিলা তিন বছরের শিশুকে নিয়ে থানের দিভা স্টেশন থেকে লোকাল ট্রেন ধরেছিলেন। সঙ্গে ভারী ব্যাগও ছিল তাঁর। দিভা থেকে রায়গড়ের রোহাতে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু পরে বুঝতে পারেন তিনি ভুল ট্রেনে উঠেছেন। এদিকে দিভাতে প্লাটফর্ম ছাড়ার ঠিক আগে ট্রেনটি দ্বিতীয়বারের জন্য় থামে।
সেই সময় ওই মহিলা এক নিত্য়যাত্রীকে বলেন, শিশুকে নিয়ে একটু প্লাটফর্মে নামতে। সেই মতো ওই যাত্রী প্লাটফর্মে নামেন। কিন্তু সেই সময় ট্রেন ছেড়ে দেয়। এদিকে মা ট্রেনেই থেকে যান।
ওই যাত্রী প্রনীত জঙ্গম জানিয়েছেন, ওই মহিলার হাতে অনেকগুলি ব্যাগ ছিল। সম্ভবত সিগন্য়াল লাল থাকায় ট্রেনটি আবার থামে। তখনই তিনি বাচ্চাটিকে নিয়ে আমায় নামতে বলেন। কিন্তু আমি নামার পরেই ট্রেনটি ছেড়ে দেয়।
এদিন প্রণীত ভাবেন ওই মহিলা হয়তো পরের স্টেশন কোপারে যাবেন। সেই মতো তিনি পরের ট্রেনে কোপারে যান। কিন্তু সেখানে আমি তাঁকে দেখতে পাইনি। এরপর স্টেশন ম্য়ানেজারের কাছে যাই। তিনি এরপর দিভা ও কোপার দুটি স্টেশনেই ঘোষণা করেন শিশুর ব্যাপারে।
প্রায় দুঘণ্টা ধরে এই টানাপোড়েন চলে। ততক্ষণে প্রণীত তার অফিস মিটিং মিস করেছেন। কিন্তু তবুও বাচ্চাটিকে ছেড়ে যাননি। স্টেশন ম্যানেজার ভূষণ ঘানে বলেন, একদিকে প্রণীতের অফিসের ফোন, অন্য়দিকে বাচ্চাটি প্রচন্ড কাঁদছিল। কিন্তু তারমধ্য়েই খুব ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করে তিনি বাচ্চাটিকে মায়ের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছেন।