৪৬ বছর বয়সি এক ব্যক্তির বিরুদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এক মহিলা। তবে সেই মামলায় অভিযুক্তকে আগাম জামিন দিয়ে দিল আদালত। এই মামলায় অভিযুক্ত আদালতে একটি অবাক করার মতো নথি পেশ করেছেন। যে নথি অনুযায়ী, মহিলার সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে লিভি ইন সম্পর্কে ছিলেন ওই ব্যক্তি। ঘটনাটি মুম্বইয়ের।
আরও পড়ুন: সম্পর্কে যাওয়ার আগে এই ৪ বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখুন
জানা গিয়েছে, ২৯ বছর বয়সি মহিলা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বহুবার ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন। তবে ব্যক্তির দাবি, দুজনে চুক্তির ভিত্তিতে গত কয়েক মাস ধরে লিভ ইন সম্পর্কে থাকছেন। এমনকী চুক্তিতে যে বিষয়গুলি উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কেউ একে অপরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ জানাতে পারবেন না। আর তাতে দুজনের সাক্ষর রয়েছে। যদিও মহিলার দাবি চুক্তিতে তার সই নেই। একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৯ অগস্ট ওই ব্যক্তিকে ধর্ষণের মামলায় আগাম জামিন দেয় আদালত।এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত একজন সরকারি কর্মচারী। অন্যদিকে, মহিলাটি বয়স্কদের দেখাশোনা করেন।
মহিলার অভিযোগ, তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একসঙ্গে থাকার একাধিকবার ধর্ষণ করেছে অভিযুক্ত। গত বছরের ৬ অক্টোবর তাদের পরিচয় হয়। পরে তারা একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। মহিলার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। ওই ব্যক্তি তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহিলা পরে জানতে পারেন, অভিযুক্তের অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। এমনকী তিনি বিবাহিত। আরও অভিযোগ, তাকে অশ্লীল ভিডিয়ো দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার জন্য জোর দেওয়া হয়েছিল। এমনকী, তিনি আরও অভিযোগ করেন যে তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু, অভিযুক্ত তাকে গর্ভপাত করতে বাধ্য করে। গত মাসেই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মহিলা। অভিযুক্তের আইনজীবী দাবি করেছেন, যে তাঁর মক্কেল পরিস্থিতির শিকার। তারা চুক্তি করেই নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক চালিয়ে গিয়েছেন। তাতে উভয়ের সম্মতি ছিল। তাতে দুজনে ১১ মাসের জন্য চুক্তি করছিলেন। গত ১ অগস্ট সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়।
বিচারক শায়না পাটিল সমস্ত প্রমাণ এবং বিবৃতি পর্যালোচনা করেছেন এবং উল্লেখ করেছেন যে সম্পর্কটি প্রাথমিকভাবে সম্মতিপূর্ণ বলে মনে হয়েছে এবং উভয় পক্ষই প্রাপ্তবয়স্ক। বিচারক আরও উল্লেখ করেছেন যে চুক্তিতে নোটারি স্ট্যাম্প সহ একটি জেরক্স কপিও ছিল। এর সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চুক্তিতে বহু শর্তের কথা বলা হয়েছে। যৌন হয়রানি নিয়ে এই শর্ত ছাড়াও তাতে বলা হয়েছে, অভিযুক্তের বাড়িতেই থাকবেন মহিলা। তবে তাদের একে অপরের সঙ্গে থাকতে ভালো না লাগলে তারা এক মাস আগে নোটিশে জানাবেন। এছাড়াও, মহিলার কোনও আত্মীয় অভিযুক্তের বাড়িতে থাকতে পারবে না। তাছাড়া গর্ভবতী হয়ে পড়লে তাঁর সঙ্গী দায়ী থাকবেন। এই চুক্তিপত্রের সত্যতা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।