শহুরে পরিবারের তুলনায় গ্রামীণ পরিবারগুলোর চিকিৎসা খরচ কম। হাসপাতালে ভর্তির জন্যও শহরের তুলনায় ১,০০০ টাকা কম খরচ হয়। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সরকারি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে এমনটাই। বিভিন্ন অঞ্চলের পরিবারের চিকিৎসা ব্যয়ের ক্ষেত্রে আর্থিক বোঝাকে তুলে ধরে সমীক্ষা বলেছে, গত এক বছরে গ্রামীণ এলাকায় হাসপাতালে ভর্তির জন্য পরিবারগুলি গড়ে ৪,১২৯ টাকা খরচ করেছে। শহুরে এলাকায় সেই গড় খরচ বেশি ছিল, ৫,২৯০ টাকা।
আরও পড়ুন: (Ratan Tata: রতনে গড়া রতন! ১১ হাজার হিরে দিয়ে রতন টাটার অবয়ব তৈরি সুরাটে)
২০২২ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত, পরিসংখ্যান মন্ত্রকের বিস্তৃত বার্ষিক মডুলার সমীক্ষা অনুযায়ী, গত ৩০ দিনে হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে,সাধারণ চিকিৎসার জন্য গ্রামীণ পরিবারের গড় খরচ হয়েছে ৫৩৯ টাকা। এবং শহুরে পরিবারের জন্য গড় খরচ হয়েছে ৬০৬ টাকা। এই ডেটা গ্রামীণ এবং শহুরে এলাকার মধ্যে খরচের পার্থক্য তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: (Bangla Jokes Collection: ছুটির দিন মানেই আনন্দে থাকার দিন, পড়ে নিন দিনের সেরা ৫ জোকস! মন থাকুক ফূর্তিতে)
সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে যে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী প্রায় ৯৬.৯ শতাংশ মানুষ সহজ বাক্য পড়তে, লিখতে এবং সাধারণ অঙ্ক করতে পারে। এই বয়স গোষ্ঠীতে, পুরুষ ও মহিলার মধ্যে দেখতে গেলে, ৯৭.৮ শতাংশ পুরুষ এই কাজগুলি করতে পারে। যখন ৯৫.৯ শতাংশ মহিলারাও একই কাজ করতে পারে। বলা বাহুল্য, এই তথ্যটি তরুণদের মধ্যে বেসিক শিক্ষা এবং দক্ষতার কথা বলে, এই খাতেও মহিলা ও পুরুষের মধ্যে পার্থক্য নিতান্তই কম।
আরও পড়ুন: (Profit From Durga Puja: করোনার পর প্রথম এত ব্যবসা! পুজোর ভিড়েই লাভ হল এদের)
সমীক্ষাটি আরও প্রকাশ করেছে যে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী ২৩.৩ শতাংশ ব্যক্তি স্কুলে পরেননি, কাজ করেননি বা কোনও বিশেষ ট্রেনিংও নেননি। ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে, এই কিছু না করা ব্যক্তিদের সংখ্যা ছিল ২৫.৬ শতাংশ। উপরন্তু, ৯৫.১ শতাংশ পরিবারের একটি টেলিফোন বা মোবাইল সংযোগ ছিল, আর ৯.৯ শতাংশ ব্যক্তির কাছে একটি করে কম্পিউটার ছিল। ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী যুবকদের মধ্যে, গ্রামীণ এলাকায় প্রায় ৯৫.৭ শতাংশ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারেন, শহরাঞ্চলে আবার ৯৭ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারেন।