সাধারণত বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ আইনের চোখে অপরাধ হিসেবেই বিবেচিত হয়। সেই ধরনের একটি মামলায় ব্যতিক্রমী নির্দেশ দিল বোম্বে হাইকোর্ট। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আগাম জামিন দিল আদালত। সেই সঙ্গে আদালতের গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ, অভিযুক্ত এবং ভুক্তভোগী দুজনেই প্রাপ্তবয়স্ক। তারা দুজনেই জানতেন পরিণতি। এই বলে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন নেই বলে জানায় আদালত।
ধর্ষণের পর গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত, রক্ত দিয়েই ধর্ষকের নাম লিখল কিশোরী
মামলার বয়ান অনুযায়ী, ৩৫ বছর বয়সি এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই মহিলা। তার ভিত্তিতেই ওই ব্যক্তি আগাম জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন। নির্যাতিতার আইনজীবী জানান, ওই ব্যক্তি শুধু তার মক্কেলকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি ধর্ষণ করেছেন তাই নয়, সঙ্গে ২১ লক্ষ টাকার প্রতারণাও করেছেন। আইনজীবী আরও জানান, অভিযুক্ত একাধিক মহিলার সঙ্গে এভাবে প্রতারণা করেছেন। পুলিশে এনিয়ে তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে।
এরপরেই বিচারপতি ভারতী ডাংরে জিজ্ঞেস করেন, অভিযুক্ত কি কোনও নায়ক যে মহিলারা তাকে দেখলেই দুর্বল হয়ে পড়ছে? অথচ সেই মহিলারা বুঝতেও পারছে না যে তারা কী করছে। বিচারপতি আরও বলেন, ‘৩১ বছর বয়সি ওই মহিলা অভিযুক্তকে ৭ বছর ধরে চেনেন। আপনার মক্কেলকে ভিকটিম কার্ড খেলা বন্ধ করতে বলুন।’ বিচারপতি আরও জানান, নির্যাতিতা তার জবানবন্দিতে কোথাও বলেননি যে এটা তার সম্মতি ছাড়া হয়েছে। তাই অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার দরকার আছে বলে মনে হয় না। এই বলে আদালত অভিযুক্তের আগাম জামিন মঞ্জুর করে। একইসঙ্গে, আদালত উভয় পক্ষকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একে অপরের সম্পর্কে কিছু পোস্ট না করার নির্দেশ দিয়েছে।