২০০ টাকা ধার নিয়ে বচসা। তার জেরে প্রতিবেশীকে খুব করেছিল যুবক। তিন বছর পর সেই ঘটনায় সাজা ঘোষণা করল আদালত। প্রতিবেশীকে খুনের অভিযোগে ওই যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এর পাশাপাশি অপরাধীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের। সেখানকার একটি নিম্ন আদালতের অতিরিক্ত জেলা বিচারক সঞ্জীব কুমার সিং এই নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জল আনা নিয়ে বিবাদ, কাঁকিনাড়ায় ভাইকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করল দাদা
মামলার বয়ান অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২০ সালে। এই ঘটনায় আসামীর নাম জগদীশ ওরফে জগ্গু। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে প্রতিবেশী টিটুর কাছ থেকে ২০০ টাকা ধার করেছিল জগদীশ। কিন্তু, দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও জগদীশ সেই টাকা টিটুকে ফেরত দেয়নি। তখন জগদীশের কাছ থেকে বারংবার সেই টাকা চাইতে থাকে টিটু। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে আগেও বেশ কয়েকবার বচসা হয়েছিল। তবে তাদের মধ্যে বচসা চরম আকার ধারণ করেছিল ২০২০ সালের ৮ এপ্রিল। দুজনেই গাঙ্গিরির মহল্লা খালসার বাসিন্দা। জানা যায়, ওই রাতে জগদীশের কাছে ফের টাকা ফেরত চাইলে টিটুকে ছুরি দিয়ে একের পর এক আঘাত করে। ঘটনায় টিটুর আর্তনাদ শুনে ছুটে আসেন তার মাসতুতো ভাই মহেশচন্দ্র। কিন্তু, ততক্ষণে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় জগদীশ। এরপর টিটুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এদিকে টিটুর পরিবার এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করে। খবর পেয়ে সেখানে আসে পুলিশ। চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার সময় টিটুর বয়ান নথিভুক্ত করে পুলিশ। সেখানে তদন্তকারীরা জানতে পারেন জগদীশ টিটুকে ছুরি দিয়ে একাধিকবার আঘাত করেছিল। টাকার কারণেই এই ঘটনা বলে জানতে পারেন তদন্তকারী। অবশেষে তদন্তে নেমে পুলিশ জগদীশকে গ্রেফতার করে। তারপর থেকেই মামলা চলে নিম্ন আদালতে। তবে এই ঘটনায় কোনও প্রত্যক্ষদর্শী ছিল না। টিটুর মাসতুতো মহেশচন্দ্র এই খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। মূলত টিটুর মৃত্যুর আগে তার বয়ানের উপর ভিত্তি করেই চার্জশিট দেয় পুলিশ। তারপরে চার্জ গঠন করে আদালত। অবশেষে সেই মামলার সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।
প্রসঙ্গত, এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও নয়া দিল্লিতে ঠিক একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। সেক্ষেত্রেও ২০০ টাকা ধার করা নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে বচসার জেরে এক বন্ধু অপর বন্ধুকে খুন করেছিল। ৩ বছর পর সেই মামলায় সাজো ঘোষণা করেছিল নয়া দিল্লির একটি আদালত। সেক্ষেত্রে অভিযুক্ত বন্ধু মুকেশ কুমারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলআদালত। একইসঙ্গে তার কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।