১৯৯০ সালে কাশ্মীরের পটভূমিকায় তৈরি সিনেমা কাশ্মীর ফাইলস নিয়ে জনতার উন্মাদনা ক্রমেই বাড়ছে। বক্স অফিসে হিট হওয়ার ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছে সিনেমাটি। দ্বিতীয় দিনে কয়েক গুন বেশি ব্যবসা করেছে এই সিনেমা। এই সিনেমার প্রশংসায় মুখ খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সিনেমার অন্যতম চরিত্র বিট্টা কারাটে। এই চরিত্র অবশ্য কাল্পনিক নয়। সত্যিকারের।
কাশ্মীর ফাইলসের বহু দৃশ্যই এমন যেগুলি খুবই হৃদয় বিদারক। সিনেমাতে জম্মু ও কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের সন্ত্রাসী বিট্টা কারাটের সাক্ষাৎকারও দেখানো হয়েছে। তার আসল ভিডিয়ো ইউটিউবে রয়েছে। সিনেমাতে দেখানো হয় যে বিট্টা কারাটে খুন করার বিষয়টি খুব স্বতঃস্ফূর্তভাবে মেনে নিচ্ছে। বাস্তবে বিট্টা নামক জঙ্গি প্রায় ২০ জন পণ্ডিতকে হত্যা করেছিল।
কাশ্মীর ফাইলস-এ বিট্টার একটি সাক্ষাৎকার রয়েছে যাতে সে বলে যে তাকে হত্যার নির্দেশ দেওয়া হত। সে বলে যে যদি তাকে নির্দেশ দেওয়া হলে সে তার মাকেও মেরে ফেলত। আসলে প্রায় ৩২ বছর আগে বিট্টা কারাটে এই একই কথা বলেছিল আসল দুনিয়ায়। ভিডিয়োটি ইউটিউবে আছে। এতে বিট্টা জানিয়েছিল, প্রথম খুনের পর তার অদ্ভুত অনুভূতি হয়েছিল। এরপর খুন করে সে স্বাভাবিকই বোধ করত। কথিত আছে বিট্টা অনেক খুনই খুব নৃশংসভাবে করেছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে ১ লাখেরও বেশি কাশ্মীরি পণ্ডিত তাদের বাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। তাদেরকে রাতারাতি গৃহহীন করা হয়েছিল। কাশ্মীরে মানুষ হত্যা ও আতঙ্ক ছড়ানোর কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৮৯ সাল থেকেই। বিট্টা কারাটা ওরফে ফারুক আহমেদ দার সেই সময় উপত্যকায় আতঙ্কের আরেক নাম হয়ে উঠেছিল। সে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের খুঁজে বের করে খুন করত। সাক্ষাৎকারে সে বলে, সতীশ নামক এক পণ্ডিতকে সে প্রথম খুন করেছিল। বিট্টা আরও বলে যে সে পিস্তল ব্যবহার করত এবং মুখোশ পরত না। অনেক বিচ্ছিনতাবাদীরাই সেই সময় তাকে সমর্থন করত।