বাংলায় নিষিদ্ধ হয়েছে দ্য কেরালা স্টোরি। এই সিনেমার বিরুদ্ধে যে রাজনৈতিক দল রয়েছে তাদের নিশানা করে মঙ্গলবার তীব্র আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তাঁর মতে যারা এই সিনেমার বিরুদ্ধে বলছেন তারা আসলে জঙ্গি সংগঠনের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।
তিনি জানিয়েছেন, যে সমস্ত রাজনৈতিক দল এই সিনেমার বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন তারা জঙ্গি সংগঠনের পাশে দাঁড়িয়েছেন। একজন অভিভাবক হিসাবে এটা আমার বিশ্বাস। আসলে যারা এই সিনেমা দেখাতে দিচ্ছে না তাদের জঙ্গিদের প্রতি সহানুভূতি রয়েছে।
তিনি বলেন,এই সিনেমায় দেখানো হয়েছে কীভাবে তরুণীদের ফাঁদে ফেলে জঙ্গি সংগঠন। কীভাবে ফাঁদে ফেলে জঙ্গি সংগঠন সেটাই দেখানো হয়েছে সিনেমায়। কেরালা স্টোরি দেখতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সেই সিনেমা দেখে বেরিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। তাঁর মতে এই সিনেমার বিরোধিতা যারা করছেন তারা আসলে জঙ্গিদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।
এদিকে ইতিমধ্যেই বাংলার হলে এই সিনেমা দেখানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সরাসরি বাংলার নাম উল্লেখ করেননি। এদিকে বাংলার একাধিক সিনেমা হলে কেরল স্টোরি দেখানো হচ্ছিল। কিন্তু তা দ্রুত বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিন বেলঘড়িয়ার একটি সিনেমা হলের সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখান দর্শকরা। তাদের দাবি টিকিট কাটা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সিনেমা দেখতে দেওয়া হচ্ছে না। এরপর পুলিশ এসে জোর করে তাদের সরিয়ে দেয়।
ইতিমধ্যেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এনিয়ে সুর চড়াতে শুরু করেছে। তাদের দাবি জোর করে বন্ধ করা হয়েছে এই সিনেমা। কোথাও থেকে কোনও আপত্তি ছিল না। তবু বন্ধ করা হয়েছে। এদিকে এনিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর চরমে উঠেছে।
সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্য়ায় আগেই বলেছিলেন, 'বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনের তৈরি সিনেমার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বাঙালিদের নামে ভোট চান তবে মুসলিমদের নিয়ে তৈরি একটি সিনেমার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তাঁর মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক যাতে অটুট থাকে, এর জন্য এই পদক্ষেপ করেছেন তিনি।'