ভারতীয় মহাদেশের আদিম সভ্যতা বলতে যে নামটা মনে পড়ে, সেই সিন্ধু সভ্যতার একটি অংশ মাটির নিচ থেকে খুঁড়ে পাওয়া গিয়েছিল পাকিস্তানে। এই দেশের সিন্ধ প্রদেশে মহেঞ্জোদারোর বেশ কিছু নিদর্শন পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের বন্যার কারণে তার সলিল সমাধি ঘটল। ইতিহাস ফের জলের তলায় হারিয়ে গেল।
কেন সলিল সমাধি বলছি? কারণ যে এলাকায় মহেঞ্জোদারোর শেষ নিদর্শন মিলেছিল, প্রত্নতাত্ত্বিকরা যা মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করেছিলেন সেগুলো সবই এখন জলের তলায়। হ্যাঁ বন্যার জল একদিন ঠিকই নেমে যাবে, কিন্তু এই জায়গাগুলো দীর্ঘদিন জলের তলায় থাকার পর কী হবে ভেবেছেন? বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন জলের নিচে থাকার কারণে মাটির পাঁচিল নরম হয়ে ভেঙে পড়বে। নষ্ট হয়ে যাবে অনেক নিদর্শন। ত্রিপল দিয়ে জায়গাটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছিল বটে, কিন্তু সেটা কখনই পর্যাপ্ত ছিল না।
পাকিস্তানের যে বন্যা লক্ষ লক্ষ মানুষকে গৃহহারা করেছে, প্রাণ কেড়েছে সহস্রাধিকের, সেই একই বন্যা ইতিহাসকে মুছে দিল। বেলুচিস্তানের মতোই সিন্ধ প্রদেশও জলের তলায়। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কাছে সকলেই হয়তো অসহায়, কিন্তু এই ২ হাজার ৫০০ বছর পুরোনো সভ্যতার নিদর্শনকে বাঁচিয়ে রাখার তেমন কোনও চেষ্টাও অবশ্য সেই দেশের সরকারের তরফে করা হয়নি। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।