বাজি ফাটানো নিয়ে এবার বিস্ফোরক টুইট সিপিএম পলিট ব্যুরোর সদস্যা সুভাষিনী আলির। তিনি লিখেছেন, মুঘলরা এই বাজির প্রচলন করেছিল ভারতে। আর এখন হিন্দুরা তাদের সেই সাবেক শাসকদের প্রথাকেই তাদের ধর্মীয় অধিকার বলে সাফাই দিচ্ছে। বাজি ফাটানোর এই উৎসাহ দেখে খুব গর্বিত। এমনকী বাজি ফাটানোর ধর্মীয় ঐতিহ্যকে রক্ষা করার জন্য অনেকে আবার জীবন উৎসর্গ করতেও রাজি। বিস্ফোরক টুইট বাম নেত্রীর।
আসলে এই বাজি ফোটানোর বিষয়টি কীভাবে ভারতে এল তা নিয়ে নানা চর্চা রয়েছে। এবার সেই চর্চাতেই আলো ফেললেন সিপিএম নেত্রী। তবে কি মুঘলরাই এই বাজি পোড়ানোর বিষয়টি ভারতে নিয়ে এসেছিল?
এই যে দুমদাম করে চারদিকে বাজি ফাটছে, সেই বাজির ইতিহাসটা ঠিক কী? অনেকের মতে, আসলে মুঘলরা এই বাজি এনেছিল এই দেশে। চিন থেকে তারা এই বাজির ব্যাপারে জানতে পারে। ত্রয়োদশ শতকের মাঝামাঝি মুঘলরা যখন ভারতে প্রবেশ করছে তখন এই বাজির ব্যাপারটিও তারা ভারতে প্রচলন করে। একাধিক প্রাচীন নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে সুলতান নাসিরুদ্দিন মহম্মদের আমলে প্রায় ৩ হাজার গরুর গাড়়ি ভর্তি বাজি ফাটানো হয়েছিল। এমনটাই অনেকের মত। আর সেই বাজি ফোটানোর বিষয়টি নিজেদের বলে মেনে নিল অন্য সম্প্রদায়?