লোকসভা ভোটের মধ্যেই অসমে বিজেপির আদি-নব্য দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে এসেছে। অসমের মন্ত্রী জয়ন্ত মল্লবরুয়ার মন্তব্যকে ঘিরে সামনে এসেছে এই দ্বন্দ্ব। খুমতার বিধায়ক মৃণাল সাইকিয়া অভিযোগ করেছেন, জয়ন্ত মল্লবরুয়ার কথা বলার ধরনের কারণে দলের ভোট নষ্ট হচ্ছে। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বিধায়ক। ভোটের মুখে আদি-নব্য সংঘাতের ফলে অসমে অস্বস্তিতে বিজেপি। এ বিষয়ে জয়ন্তের মুখ বন্ধ রাখার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন বিধায়ক।
আরও পড়ুন: 'মিঁয়া ভোট আমাদের লাগবে না…'বড় কথা বলার পরেও সেই ধুবড়িতেই প্রচারে গেলেন হিমন্ত
সাইকিয়া নিজের এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে লিখেছেন, ‘শ্রদ্ধেয় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাজি দয়া করে জয়ন্ত বাবুকে বলুন যেন তিনি দলীয় বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখেন। তাঁর কথা বলার ধরনের ফলে ইতিমধ্যেই এই লোকসভা নির্বাচনে অসমে বিজেপির হাজার হাজার ভোট নষ্ট হয়েছে।’
কী বলেছিলেন জয়ন্ত মল্লবরুয়া?
সংবাদ মাধ্যমের সামনে জয়ন্ত বলেছিলেন, ‘আমি ২০১৫ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম এবং যোগদানের পর থেকে ২৪ ঘণ্টা দলের সেবা করেছি। তবে এমন কিছু লোক আছে যারা গত ৫০ বছর ধরে দলে রয়েছেন। তাসত্ত্বেও তারা খুব কমই দলকে সময় দেন। দলের প্রতি আপনার দায়বদ্ধতা এবং কাজই আপনার অবদান নির্ধারণ করবে।’
অন্যদিকে, দলের দুই নেতার দ্বন্দ্ব নিয়ে মুখ খুলতে গিয়ে আবার দলকেই অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছেন বিজেপির নগাঁওয়ের প্রাক্তন সাংসদ রাজেন গোহাইন। তিনি বিজেপিতে পুরানো এবং নব্য বিতর্ক নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে কর্মীদের অবহেলিত করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন।
প্রাক্তন সংসদ অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘দলের কর্মীদের অবহেলিত করা হচ্ছে এটি সারাদেশে নির্বাচনে প্রভাব পড়বে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দলের কর্মী ছাড়া কেউ নেতা হতে পারে না। কর্মীদের অবহেলা করা উচিত নয়। তাদের জন্যই জনগণ নেতাকে চিনতে পারেন। দলের পুরনো কর্মীদের উপেক্ষা করলে তার পরিণতি খারাপ হয়। আমি দলের মঙ্গল চাই। তবে ক্ষতি হলে তা হবে শুধুমাত্র সেই নেতাদের কারণে হবে যারা দলের পুরনো কর্মীদের উপেক্ষা করছেন। এই ভুলের কারণে বিজেপির অবস্থাও একদিন খারাপ হবে।’
গোহাইনের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছিলেন, দলের নিয়ম ভঙ্গ করলে যে কোনও নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। ভোটের সময় দলের বিরুদ্ধে কথা বলা এবং কে পুরানো কে নতুন সেই শংসাপত্র দেওয়া প্রয়োজনীয়। এ বিষয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে রিপোর্ট পাঠানো হবে। তিনি এ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।