কাশ্মীরে ক্রমেই ফিরে আসছে ৯০-এর দশক। অমুসলিম, অ-কাশ্মীরিদের হত্যা করে অশান্তি ছড়ানো হচ্ছে উপত্যকায়। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে তকফিরি জঙ্গিরা। কাশ্মীরের শান্তি বিঘ্নিত করতে এই হ্যাকাণ্ডের ছক কষা হয়েছে পাকিস্তানে। তকফিরি জঙ্গিরা হল তারা, যারা রাজনৈতিক কারণে মুসলিমদের হত্যা করতেও তারা পিছপা হয় না। লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি তকফিরি হিসেবে পরিচিত।
জাতীয় নিরাপত্তা পরিকল্পনাকারী এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মতে, সাম্প্রতিককালে অ-কাশ্মীরিদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে পুঞ্চ-রাজৌরি সেক্টরে লস্কর জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের কারণে। দ্বিতীয় কারণ হল উপত্যকায় লস্করের ওভারগ্রাউন্ড কর্মীদের কাছে চাইনিজ স্টার পিস্তল সরবরাহ করা হচ্ছে ড্রোনের মাধ্যমে। এই হাতিয়ার সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে শ্রীনগরে টার্গেট কিলিং হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, গত অগস্টে রজৌরি-পুঞ্চ সেক্টর দিয়ে বেশ কয়েকজন জঙ্গি অনুপ্রবেশ করে ভারতে। সেই সময় ৭ জন ভারতীয় সেনা জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। সেই অনুপ্রবেশ থেকেই উপত্যকায় অ-কাশ্মীরিদের উপর হামলা চালানোর এই ঘটনাগুলির সূত্রপাত। এদিকে জম্মু ও কাশ্মীরে ড্রোনের মাধ্যমে পিস্তল পাচার চলছেই। সীমান্তে ড্রোন-রোধক প্রযুক্তির ঘাটতি থাকায় এই পাচার রুখতে সমস্যা হচ্ছে পুলিশের বা সীমান্তরক্ষীদের।
সেন্সর এবং বেড়ার সুরক্ষার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণরেখায় বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও, পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলিকে উপত্যকায় অনুপ্রবেশ করা থেকে বিরত রাখার জন্য এখনও কোন নির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেই। ড্রোনের মাধ্যমে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করে নিরাপত্তা বাহিনীর উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে পাক জঙ্গিরা।