মুরগির সঙ্গে বাড়ছে ডিমেরও দাম, আরও বাড়বে? বিপাকে আমজনতা

পাইকারী বিক্রেতাদের দাবি, খামারগুলিতে মুরগির উৎপাদন এবার কিছুটা কম। তবে মুরগির চাহিদা আগের তুলনায় কিছুটা বেশি।

মুরগির দাম বাড়ছে ক্রমশ (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য রয়টার্স)

বাংলাদেশের বাজারে মুরগির ডিম ও মাংসের দাম হু হু করে বাড়ছে। রাজধানী ঢাকাতে গত সপ্তাহের তুলনায় মুরগির দাম কেজিতে ১৫-২০ টাকা করে বেড়ে গিয়েছে। সোনালিকা মুরগির দাম প্রতি কেজি দাঁড়িয়েছে ২৯৫ থেকে ৩০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়ে হয়েছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা প্রতি কেজি। প্রতি কেজিতে ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা করে বেড়ে গিয়েছে। মুরগির ডিমের দামও অনেকটাই বেড়েছে। কিন্তু কেন এভাবে বাড়তে শুরু করেছে মুরগির দাম? 

পাইকারী বিক্রেতাদের দাবি, খামারগুলিতে মুরগির উৎপাদন এবার কিছুটা কম। তবে মুরগির চাহিদা আগের তুলনায় কিছুটা বেশি। এর জেরেই দাম কিছুটা বেড়েছে। ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, করোনা পরিস্থিতির জেরে একাধিক খামার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মূলত ক্ষতির মুখে পড়ে সেই খামারগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেকারনেই মুরগির উৎপাদন অনেকটাই কমে গিয়েছে। চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করতে না পেরেই মুরগির দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গাজিপুরে খামার পর্যায়েই ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ১২৬টাকা ও সোনালিকা মুরগির দাম প্রতি কেজি ২৩০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সেই দাম স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা বেড়েছে।

তবে শুধু মুরগির দামই নয়, মুরগির ডিমের দামও ক্রমেই বেড়েছে। গত মঙ্গলবার এক ডজন মুরগির ডিমের দাম ছিল  ১০৮ টাকা ও গত শুক্রবার সেই ডিমের দামই ছিল ১০৫ টাকা করে। এখন সেই মুরগির ডিমের দামই বেড়ে হয়েছে ১১০ টাকা করে প্রতি ডজন। দাম বেড়েছে হাঁসের ডিমেরও। প্রতি ডজনে প্রায় ১০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে হাঁসের ডিমের দাম। এখন হাঁসের ডিম ১৬০ টাকা প্রতি ডজন দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে এভাবে মুরগি ও ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন আমজনতা।