বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Prisoner swallowed mobile: কারারক্ষীদের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে আস্ত মোবাইল গিলে ফেললেন বন্দি!

Prisoner swallowed mobile: কারারক্ষীদের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে আস্ত মোবাইল গিলে ফেললেন বন্দি!

জেলে তল্লাশি শুরু হতেই মোবাইল গিলে ফেললেন বন্দি। প্রতীকী ছবি

সাধারণত জেলে বন্দিদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তারপরেও সেই নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জেলের ভিতরেই মোবাইল ব্যবহার করে থাকে অনেক বন্দি। এর জন্য জেলগুলিতে নিয়মিত তল্লাশিও চালানো হয়। সেরকমই তল্লাশি চালানো হয়েছিল গোপালগঞ্জ জেলা সংশোধনাগারে।

অবাক করা ঘটনা ঘটল বিহারের গোপালগঞ্জ জেলা সংশোধনাগারে। জেলের নিরাপত্তারক্ষীদের নজরদারি এড়িয়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছিলেন এক বন্দি। কিন্তু, নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে ধরা পড়ার ভয়ে আস্ত মোবাইল গিলে ফেললেন ওই বন্দি। এমন ঘটনায় তাজ্জব সকলেই। আর তারপরেই ঘটে বিপত্তি। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই বন্দির পেটে ব্যথা শুরু হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই বন্দিকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বন্দির নাম কায়সার আলি। শনিবার এই ঘটনা ঘটেছে।

সাধারণত জেলে বন্দিদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তারপরেও সেই নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জেলের ভিতরেই মোবাইল ব্যবহার করে থাকে অনেক বন্দি। এরজন্য জেলগুলিতে নিয়মিত তল্লাশিও চালানো হয়। সেরকমই তল্লাশি চালানো হয়েছিল গোপালগঞ্জ জেলা সংশোধনাগারে। তখনই কারারক্ষীদের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে আস্ত ফোন গিলে ফেলেছিলেন কায়সার আলি। ক্রমেই বন্দির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গোপালগঞ্জ জেল সুপার মনোজ কুমার বলেন, ‘ওই কয়েদি জেল কর্তৃপক্ষকে সমস্ত ঘটনা জানিয়েছে। তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য গোপালগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বন্দির পেটের এক্স-রে করে দেখা যায় পাকস্থলীতে আটকে রয়েছে আস্ত মোবাইল।

হাসপাতালের জরুরি ওয়ার্ডের চিকিৎসক সালাম সিদ্দিকী বলেন, ‘ওই বন্দিকে পেটে ব্যথার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তার পেটের এক্স-রে করা হয়েছিল এবং পরীক্ষার সময় মোবাইল দেখা গিয়েছে। সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই বন্দির চিকিৎসার জন্য একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বন্দিকে চিকিৎসার জন্য পাটনা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, কায়সার আলিকে ২০২০ সালের ১৭ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয়েছিল। একটি মাদক মামলায় তাকে গ্রেফতার করেছিল গোপালগঞ্জ থানার পুলিশ। গত তিন বছর ধরে তিনি জেলে রয়েছেন। তবে বিহারের ওই জেলে ইদানীং মোবাইল ব্যবহার করার অভিযোগ উঠছিল। ২০২১ সালের মার্চ মাসে রাজ্য জুড়ে কারাগারে অভিযান চালানো হয়। সেই সময় প্রায় ৩৫টি মোবাইল ফোন, ৭টি সিম কার্ড এবং ১৭টি মোবাইল চার্জার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। কাটিহার, বক্সার, গোপালগঞ্জ, নালন্দা, হাজিপুর, আরা, জেহানাবাদ এবং রাজ্যের আরও কয়েকটি জেলে ওই সময় অভিযান চালানো হয়েছিল।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন