দুটি দফায় ভোট এবার মণিপুরে। ২৭শে ফেব্রুয়ারি প্রথম পর্ব ও ৩রা মার্চ দ্বিতীয় পর্বের ভোট। কিন্তু সব মিলিয়ে এবার যেন অনেকটাই অন্য়রকম আবহে ভোট হচ্ছে উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে। রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও চরম ডামাডোল পরিস্থিতি। বিধায়কদের অনেকেই দল পরিবর্তন করেছেন। পাশাপাশি একের পর এক জঙ্গি হামলার ঘটনায় গত কয়েকমাসে বার বার অস্থিরতা তৈরি হয়েছে মণিপুরে। গত ১৩ই নভেম্বর অসম রাইফেলসের কনভয়ের উপর আচমকা জঙ্গি হামলাতে ৭জনের মৃত্যু হয়েছিল। গত ৫ই জানুয়ারি বোমা বিস্ফোরণে অসম রাইফেলসের এক জওয়ানের মৃত্যু হয়। সব মিলিয়ে এই অস্থিরতার মধ্যে শান্তিতে ভোট করানোই কমিশনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে মুখ্য় নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে মণিপুরে গত কয়েকমাসে রাজনৈতিক সমীকরণ দ্রুত বদলাতে শুরু করেছে। শাসক দল বিজেপি ও তার সহযোগী এনপিপি ইতিমধ্যেই ঘর গোছাতে শুরু করেছে। এদিকে গত বিধানসভায় অন্তত ৬০টি আসনের মধ্যে ২৮টি আসনে জয়ী হয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অন্য়ান্য দলের সহযোগিতায় সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। সেই কংগ্রেসেও এখন ভাঙনের পরিস্থিতি। বিধায়কের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৫তে। বিজেপির বিধায়ক সংখ্য়া আগের তুলনায় বেড়েছে কিছুটা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি এ সারদা দেবী জানিয়েছেন, আমাদের লক্ষ্য ৪০টি আসন দখল করা। উন্নয়নের ফসল ঘরে তুলবে বিজেপি। কংগ্রেস নেতা এন লোকেনের দাবি, এখানকার বিজেপি সরকার তো বিজ্ঞাপনের সরকার। তবে রাজনৈতিক মহলের দাবি, এবার মণিপুরে এনপিএফ সহ বিভিন্ন আঞ্চলিকদলগুলির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এদিকে পরিসংখ্যান অনুসারে মণিপুরে বেকারত্বের হার ৯.৫ শতাংশ। রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রদীপ পানজৌবাম বলেন, এবার বেকারত্বের বিষয়টি ভোটে বড় ইস্যু হবে। তবে কারা টিকিট পাচ্ছেন তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। বিজেপি শাসনক্ষমতায় রয়েছে। তারা বাড়তি সুবিধা পেতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়াবে বোঝা যাচ্ছে না।