রবিবার কংগ্রেস ছাড়লেন সুস্মিতা দেব। জনসেবার নতুন পর্বে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছ থেকে শুভেচ্ছা চাইলেন তিনি। অসমের শিলচরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেব সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেসের সভাপতির পদও ছেড়ে দিয়েছেন। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে রাতারাতি এসব হয়নি। গত ২৬শে জুলাই তিনি এব্য়াপারে কিছুটা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। পাশাপাশি সম্প্রতি তাঁর টুইটার অ্য়াকাউন্ট যখন ব্লক করা হয়েছিল তখনও তিনি জানিয়েছিলেন, ‘অপেক্ষা করুন। বড় কিছু হবে।’
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় বরাক উপত্যকা এলাকায় আসন সমঝোতা নিয়ে দলের অন্দরে মনোমালিন্য তৈরি হয়েছিল। গত মার্চ মাসেই তিনি জানিয়েছিলেন, আসন প্রসঙ্গে আমি বরাক উপত্যকার প্রতিটি কংগ্রেস কর্মীর পক্ষ নিয়ে কথা বলেছিলাম, কারণ কঠিন সময়তেও সেই কর্মীরাই কংগ্রেসের পাশে রয়েছেন। এদিকে অসম-মিজোরাম সংঘাত শুরু হওয়ার আগেই সুস্মিতা দেব জানিয়েছিলেন, ‘আমি কংগ্রেসের কিছু দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চাইছি। এব্যাপারে কংগ্রেস সভানেত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে সব কিছু প্রকাশ্যে আসবে।’ বলেছিলেন সুস্মিতা দেব।
এদিকে সম্প্রতি কয়েকজন কংগ্রেস নেতৃত্বের টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়েছিল। এরপরই হিন্দুস্তান টাইমসকে সুস্মিতা দেব জানিয়েছিলেন,' ২-৩ দিন অপেক্ষা করুন। বড় কিছু অপেক্ষা করছে। একটা বড় চমক দিতে চলেছি।' কার্যত এবার সেই চমকটাই দিলেন সুস্মিতা দেব। কংগ্রেস নেতা কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ বলেন, বিধানসভা ভোটের টিকিট বিতরণ নিয়েও অসন্তুষ্ট ছিলেন সুস্মিতা দেব। কংগ্রেস নেতা তমাল কান্তি বনিক বলেন, আমরা এতে আশ্চর্য নই। মঞ্চ আগেই তৈরি হয়ে ছিল। তবে খারাপ লাগছে সন্তোষ মোহন দেবের পরিবারের সঙ্গে কংগ্রেসের ৫ দশকের সম্পর্ক। সেটা আর থাকল না।