বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, রাজনৈতিক তৎপরতা তত তীব্র হচ্ছে। এদিকে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে এবং প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক রহমান, যিনি ১৭ বছর ধরে স্ব-নির্বাসনে আছেন, বাংলাদেশে ফিরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কিছু জরুরি কারণে এখন পর্যন্ত আমার ফিরে আসা আটকে আছে। এখন সময় এসেছে। আমি শীঘ্রই ফিরে আসব।’ তিনি আরও বলেন যে, ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের সময় তিনি বাংলাদেশে থাকবেন। ৫৮ বছর বয়সী তারেক রহমান বলেন, ‘যদিও আমি গত ১৭ বছর ধরে ব্রিটেনে থাকি, মানসিকভাবে আমি বাংলাদেশে থাকি।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সবাই নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে। এমন সময়ে আমি কীভাবে দূরে থাকতে পারি?’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সময় আমি আপনাদের মধ্যে থাকব।’
তিনি আরও বলেন যে তিনি নিজেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রশ্নে রহমান কী বলেছেন? তিনি কি প্রধানমন্ত্রী হতে চান জানতে চাইলে রহমান বলেন, ‘জনগণই তা নির্ধারণ করবে।’ উল্লেখ্য, ২০০৮ সালেই তৎকালীন সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাকে লন্ডনে পাঠিয়েছিল। ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলা সহ তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ২০০৪ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে তিনি লন্ডনেই ছিলেন।
তাঁর মা খালেদা জিয়ার বয়স ৮০-এর কোঠায় এবং তাই রাজনীতিতে খুব বেশি সক্রিয় নন। উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই মাসে আওয়ামী লীগ সরকারকে জোরপূর্বক অপসারণ করা হয়েছিল। তখন থেকে নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলছে।