রাজস্ব ঘাটতি খাতে মোট ১৪টি রাজ্যকে ৬১৯৫.০৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় সরকার। আর তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গকে বরাদ্দ করা হয়েছে ৪১৭.৭৫ কোটি টাকা। শুক্রবার সকালে এ কথা জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী কোভিড মোকাবিলায় রাজ্যের কিছুটা সুরাহা করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্র–রাজ্য করের টাকা বন্টনের পর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ঘাটতি হচ্ছে রাজ্যের। তা কমাতেই পশ্চিমবঙ্গ–সহ ১৪টি রাজ্যকে ৬টি সহজ কিস্তিতে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে। অন্য রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে অন্ধ্র প্রদেশ, অসম, হিমাচল প্রদেশ, কেরল, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, পঞ্জাব, তামিলনাডু, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড এবং সিকিম। এর মধ্যে সবথেকে বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে কেরলকে। তা হল ১২৭৬.৯২ কোটি টাকা।
যদিও এই অনুদানে খুশি নয় রাজ্যগুলি। কারণ, তাদের বক্তব্য, কেন্দ্রের কাছে এর থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ বকেয়া রয়েছে। জিএসটি বাবদ ক্ষতিপূরণের বিপুল টাকাও কেন্দ্রের কাছে বকেয়া রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের। বহু বার এ নিয়ে কেন্দ্রের কাছে দরবার করার পর সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও লিখেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি তিনি এক ভার্চুয়াল বৈঠকে বলেন, ‘জিএসটি খাতেই ক্ষতিপূরণ বাবদ রাজ্য কেন্দ্রের কাছ থেকে এখনও ৪,১৩৫ কোটি টাকা পায়নি। কেন্দ্রের থেকে বাংলার মোট প্রাপ্য ৫৩ হাজার কোটি টাকা।’ এই ৪১৭ কোটি টাকায় যে রাজ্যের জল কোনওমতেই গরম হবে না তা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।