রবিবার তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হ্যাটট্রিক করে জওহরলাল নেহরুর পাশে জায়গা করে নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও রবিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে গতকাল শপথ নিয়েছেন ৭১ জন মন্ত্রী । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় এবার একের পর এক চমক দেখা গিয়েছে। তার মধ্যে একটি হল- এবারের মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন ৬ জন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এঁরা হলেন- বিজেপির রাজনাথ সিং, শিবরাজ সিংহ চৌহান, মনোহর লাল খাট্টার, সর্বানন্দ সোনওয়াল। এছাড়াও এনডিএ-র শরিক দলগুলির মধ্যে থেকে রয়েছেন- জিতেন রাম মাঝি এবং এইচ ডি কুমারস্বামী।
আরও পড়ুন: মোদী ৩.০ মন্ত্রিসভায় সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী হলেন TDP-র রামমোহন, ছাপিয়ে গেলেন বাবাকে
রাজনাথ সিং আগে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তিনি লখনও আসন থেকে জয়ী হয়েছেন। প্রবীণ এই বিজেপি নেতা ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে মোদী সরকারের মেয়াদে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন। এবারও তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। শিবরাজ সিং চৌহান এর আগে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তিনি বিদিশা কেন্দ্র থেকে রেকর্ড ভোটে জয়ী হয়েছেন। শিবরাজ সিং ‘মামা’ নামেও জনপ্রিয়। তাঁকে কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গ্রামীণ কেন্দ্রগুলিতে বিজেপির ভোট কমেছে। গত পাঁচ বছরে কৃষক আন্দোলনে উত্তাল হয়েছে দেশ। তা এবার দায়িত্ব দেওয়া হল একজন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নেতাকে।
সর্বানন্দ সোনওয়াল ছিলেন অসমের প্রথম বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী। ২০২১ সালে হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে অসমের মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। পরে সর্বানন্দকে কেন্দ্রের বন্দর, জাহাজ এবং জলপথ মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এবারও তিনি এই মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছেন। এদিকে এইচডি কুমারস্বামী ছিলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বাবা এইচডি দেবগৌড়া প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী । কুমারস্বামী মান্ডিয়া আসন থেকে জয়ী হয়েছেন। উল্লেখ্য, কুমারস্বামী কৃষকপন্থী অবস্থানের জন্য পরিচিত। তিনি প্রথমবার কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী হলেন। তাঁকে ভারী শিল্প ও স্টিল দফতরের মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
জিতেন রাম মাঝি ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি গয়া আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। এবার তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করেছে বিজেপি।ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্প দফতরের মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। মনোহর লাল খট্টর ২০১৪ সাল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তাঁকে শক্তি মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, আরও যেসমস্ত মুখ্যমন্ত্রী এবার জয়ী হয়ে সাংসদ হয়েছেন তাঁরা হলেন- বাসবরাজ বোম্মাই। তিনিও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এবার বিজেপির টিকিটে হাভেরি আসন থেকে তিনি জয় হয়েছেন। এই কেন্দ্রের পূর্বের বিজেপি সাংসদ শিবকুমার উদাসী রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করার পরেই বোম্মাইকে প্রথমবার লোকসভার প্রার্থী করে বিজেপি। অন্যদিকে, বিপ্লব কুমার দেব ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে দেয় বিজেপি। এরপর মানিক সাহাকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। বিপ্লব দেব ত্রিপুরা পশ্চিম আসন থেকে জয়ী হয়েছেন।