সদ্য সমাপ্ত হয়েছে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যে নব নির্বাচিত বিধায়কদের নিয়ে একটি গুরুতর তথ্য সামনে এসেছে।অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর) একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যে নবনির্বাচিত বিধায়কদের মধ্যে ১১৮ জন অর্থাৎ ৪১ শতাংশ বিধায়কের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে খুন, খুনের চেষ্টার মতো গুরুতর অভিযোগ।
আরও পড়ুন: ‘এসো, আমার আশীর্বাদ নিয়ে যাও...’ ভাইপো রোহিতকে কেন একথা বললেন অজিত?
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১১৮ জনের মধ্যে তিন জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রয়েছে এবং ১১ জনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মতো অভিযোগ রয়েছে। তবে ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দুই জয়ী প্রার্থীর হলফনামা খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিটি বিধায়কের গড় সম্পত্তির পরিমাণ ৪৩.৪২ কোটি টাকা, যা গতবারের প্রায় সমান। এর মধ্যে কোটিপতি বিধায়কের সংখ্যা হল ৯৭ শতাংশ, যা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি। এই বিধায়কের মধ্যে ১৬৩ জনের ১০ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে মহায্যুতি জোটের বিধায়কদের বিরুদ্ধে। আর সবচেয়ে বেশি বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে। এই সংখ্যাটি হল ৫৩ জন, শিবসেনার ২৭ জন, এনসিপির ১২ জন। এছাড়া, বিরোধী জোটে শিবসেনা (ইউবিটি)-র ৮জন বিধায়ক, কংগ্রেসের ৬ বিধায়ক, এনসিপি (এসপি) ৪ জন এবং সমাজবাদী পার্টির দু'জনের বিরুদ্ধে গুরুতর ফৌজদারি মামলা রয়েছে। উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে অর্থাৎ ২০১৯ সালে ১১৩ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা ছিল। এবার সেই সংখ্যাটা বেশি।
শুধু তাই নয়, জয়ী প্রার্থীদের গড় সম্পত্তিও এবার বেশি। ১৩২ জন বিজেপি বিধায়কের প্রত্যেকেরই গড় সম্পত্তি হল ৫৯.৬৮ কোটি টাকা। শিবসেনার ৫৭ জন বিধায়কদের গড় সম্পত্তি প্রায় ৩০ কোটি টাকা এবং এনসিপির জয়ী প্রার্থীদের গড় সম্পত্তি ২২.৩২ কোটি টাকা।
এদিকে, বিরোধী জোটের শিবসেনা (ইউবিটি) বিধায়কদের প্রত্যেকের গড় সম্পদ ১০.৪৩ কোটি টাকা এবং কংগ্রেস বিধায়কদের প্রত্যেকের গড় সম্পত্তি ৪৩.৯১ কোটি টাকা। ৮ এনসিপি (এসপি) বিধায়কের গড় সম্পত্তি ৫১.৩১ কোটি টাকা এবং সমাজবাদী পার্টির দুই বিধায়কের গড় সম্পত্তি ১৫৮.৫২ কোটি টাকা। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এবার ২৮৬ জন নবনির্বাচিত বিধায়কদের ২৪ জনের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। এছাড়া ১৮৭ জন বিধায়কের বয়স ৪০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। ৭৫ জন বিধায়কের বয়স ৬০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে।