পাকিস্তান ও বাংলাদেশে হিন্দু নেতা নেই’, তাই এই দুই দেশকে সাম্প্রদায়িক বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। বুধবার গুয়াহাটিতে আরএসএস প্রধান মোহন ভগবতের সিএএ ও এনআরসি নিয়ে বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বলেন, ‘ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে এখনও রয়ে গিয়েছে।' তিনি চাঁচাছোলা ভাষায় আরও বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে হিন্দু নেতা না হওয়ায়, এই দুই দেশ ধর্মনিরপেক্ষ নয়, সাম্প্রদায়িক হয়ে উঠেছে
এছাড়াও ভারতীয় সভ্যতায় ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণাকে আরও মজবুত করা প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন তিনি। হিমন্ত বলেন, ‘যদি কেউ ব্রিটেন এবং আমেরিকারকে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ বলে ভাবে, তবে তা ভুল। যেহেতু ভারতে ধর্মনিরপেক্ষ নিজস্ব সভ্যতা, তাই এভাবেই আপনাকে নিজের দেশের সংজ্ঞা দিতে হবে।’
অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিএএ-র প্রতি আমার সমর্থন রয়েছে, কারণ এই প্রক্রিয়াই বাংলাদেশ থেকে অসমে আসা হিন্দুদের নাগরিকত্ব দিতে পারে। সেজন্য সবকিছুর ভারসাম্য রক্ষা করুন। একইসঙ্গে দেশ গঠনে নিজের অবদান রাখুন।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের অসমিয়াদের সমস্যাগুলি সমাধান করতে হবে। অন্য দিকে, আমাদের ধর্ম, সভ্যতা ও সংস্কৃতিও রক্ষা করতে হবে। কারণ, ভারত বৈচিত্র্যকে সম্মান করে। আমাদের অসমিয়া সংস্কৃতি রক্ষা করা দরকার। আমি নিশ্চিত যে তাঁরা দেশ গঠনে ভারসাম্য ও অবদান রাখার একটি উপায় খুঁজে পাবেন।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, অসমের বাইরে যাঁরা প্রতিবাদ করছেন তাঁদের দাবি যে শুধু হিন্দুদের নয়, মুসলিম অভিবাসীদেরও নাগরিকত্বের তালিকায় রাখা উচিত। তবে অসমে এই সিএএ’র বিরুদ্ধে প্রতিবাদকে ঘিরে হিন্দু বা মুসলিমদের অন্য দেশের নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত নয়। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন যে বিক্ষোভকারীরা সম্পূর্ণ বিক্ষোভকে সাম্প্রদায়িকতার রং দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।’